নিম্নচাপ আর অমাবস্যার ভরা কোটালের জেরে বুধবার সকাল থেকেই উত্তাল দিঘার সমুদ্র। প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে বারবার সতর্ক করা হচ্ছিল পর্যটকদের, সমুদ্রে নামা একেবারেই নিষিদ্ধ। কিন্তু তবু পর্যটকদের ভিড় কমেনি, আর দুপুর হতেই অনেকে নেমে পড়েন জলে। ঠিক তখনই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।
পরিবারের চোখের সামনে তলিয়ে গেলেন অনুরূপ
সোনারপুর থেকে ঘুরতে আসা অনুরূপ শিকদার (২২) বুধবার দুপুরে পরিবারের সঙ্গে সিহকগোলা ঘাটে স্নান করতে নেমেছিলেন। সেই সময়েই সমুদ্রের অনেকটা গভীরে চলে যান তিনি। হঠাৎই এক চোরাস্রোত তাঁকে টেনে নিয়ে যায় সমুদ্রের বুকের গভীরে। আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করে পরিবার।
প্রাণ বাঁচালেন দুই নুলিয়া
ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত দুই নুলিয়া — মিলন দাস ও রতন দাস — বিষয়টি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েন উত্তাল জলে। বহু কষ্টে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন তাঁরা। তারপরেই দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনুরূপ।
মত্ত অবস্থায়ও নামছিলেন অনেকে, ক্ষোভ প্রশাসনের
সূত্রের খবর, শুধুমাত্র অনুরূপ নন—দুপুরের দিকে বহু পর্যটক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমুদ্রে নামছিলেন, এমনকি অনেকে ছিলেন মত্ত অবস্থাতেও। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে এবার থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’
উপকূলজুড়ে কড়া নজরদারি
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সতর্কতা জারি হয়েছে আগেই। দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর – সব জায়গাতেই শুরু হয়েছে প্রশাসনিক নজরদারি। মাইকিং করে ও নজরদারি জোরদার করে পর্যটকদের সচেতন করার চেষ্টা চলছে।