Indian Railway : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জলপাইগুড়ি থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন অবশেষে চালু হতে চলেছে। চলতি মাসের ১৪ তারিখ বিকেল ৫টায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করবে এই নতুন ট্রেনটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সাংসদ ও রেল বিভাগের কর্মকর্তারা।
রেল বোর্ডের নির্দেশিকা এসেছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি। তবু এতদিন ধরে ট্রেনের চালু হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। এবার সেই জট অবশেষে কাটল।
কী থাকবে এই ট্রেনে?
এই নতুন ট্রেনটি ব্যবহার করবে ২২৩১৭ এবং ২২৩১৮ শিয়ালদহ-জম্মু-তাওয়াই হামসফর এক্সপ্রেসের রেক। ট্রেনটিতে থাকবে ১৬টি এসি থ্রি-টিয়ার কোচ। জেনারেল ও স্লিপার কোচ থাকবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়, তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন রেল আধিকারিকরা।
ট্রেনের সময়সূচি ও চলাচলের দিন
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ট্রেনটি সপ্তাহে একদিন চলবে। শিয়ালদহ থেকে ছাড়বে প্রতি শুক্রবার রাত ১১:৪০ মিনিটে, জলপাইগুড়ি রোড পৌঁছবে শনিবার দুপুর ১২:১৫ মিনিটে। আবার জলপাইগুড়ি রোড থেকে ফিরবে শনিবার রাত ৮:৩০ মিনিটে, শিয়ালদহ পৌঁছবে রবিবার সকাল ৮:১০ মিনিটে।
এই সময়সূচির ফলে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সাপ্তাহিক যোগাযোগের নতুন এক অধ্যায় শুরু হতে চলেছে।
স্থানীয় মানুষের দাবি, রেল বোর্ডের সাড়া
জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় জানিয়েছেন, “জলপাইগুড়ি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় শহর। এখানে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ—সবই রয়েছে। তাই এই শহরের সঙ্গে রাজধানী কলকাতার সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল।”তিনি আরও বলেন, “আমি রেলমন্ত্রীকে বহুবার বিষয়টি জানিয়েছিলাম। অবশেষে সিদ্ধান্তটি কার্যকর হল। আশা করছি, এই ট্রেন উত্তরবঙ্গবাসীর যোগাযোগ ও যাত্রার ক্ষেত্রে বড় স্বস্তি দেবে।”
যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া
খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তরবঙ্গের মানুষজনের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গিয়েছে। বহু যাত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, নিয়মিত কাজ বা চিকিৎসার জন্য এই ট্রেন তাঁদের জন্য ভরসার জায়গা হতে চলেছে। বিশেষ করে যাঁরা এসি কোচে যাতায়াত পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এটি হবে আরামদায়ক বিকল্প।
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি-শিয়ালদহ সরাসরি ট্রেন বহুদিনের দাবি ছিল উত্তরবঙ্গবাসীর। তিন মাস আগেই রেল বোর্ড নির্দেশিকা দিলেও, তার বাস্তবায়ন এতদিন হয়নি। ১৪ জুন সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু হচ্ছে নতুন ট্রেন পরিষেবা। এই ট্রেন যেমন যাত্রীদের ভ্রমণে সুবিধা দেবে, তেমনই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় করবে।