New Route : দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল—অটোর অভাবে নিত্যদিন সমস্যায় পড়ছেন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে কর্মজীবীরা। ভোরবেলা থেকে রাত পর্যন্ত যাত্রীদের লাইন, আর অটো পাওয়ার লড়াই যেন প্রতিদিনের রুটিন। সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে এগিয়ে এল রাজ্য সরকার। অবশেষে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে নতুন ছয়টি অটো রুট চালুর ঘোষণা করা হয়েছে।
কোন কোন রুটে মিলছে নতুন অটো পরিষেবা?
কলকাতা আঞ্চলিক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (RTA)-এর অধীনে নতুনভাবে ছয়টি রুটে চালু হয়েছে অটো পরিষেবা। যেসব রুটে দীর্ঘদিন ধরে চাহিদা থাকলেও অটো মিলত না, সেখানে এবার থেকে চলবে অনুমোদিত অটো।
- দুর্গানগর স্টেশন থেকে মাঝেরহাট – ৩৪টি পারমিট
- গোরুহাট থেকে গোরাবাজার (ভায়া রথতলা ক্যান্টনমেন্ট) – ১১৫টি পারমিট
- গোরুভাঙ্গা (নওদাপাড়া) থেকে ঘোষাল ভবন – ১৫টি পারমিট
- সোদপুর স্টেশন থেকে মধ্যমগ্রাম স্টেশন – ২০৪টি পারমিট
- দমদম স্টেশন থেকে নাগেরবাজার – ৩০০টি পারমিট
- বিটি রোড থেকে সাজিরহাট – ১৩০টি পারমিট
এই সিদ্ধান্তে খুশি যাত্রীরা। শহরতলির মানুষজনের মতে, দীর্ঘদিনের অসুবিধা মিটবে এবং ট্রেন-বেরিয়েও সহজে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে।
বাস পরিষেবাতেও বড় পরিবর্তন, আসছে নতুন রুট HB-9
শুধু অটো নয়, রাজ্য পরিবহণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে বাস পরিষেবাতেও আনা হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। রামরাজতলা এবং রাজাবাজারের মধ্যে চলাচলকারী পুরনো মিনি বাসগুলির বদলে আসছে পরিবেশবান্ধব বাস পরিষেবা। সরকার অনুমোদন দিয়েছে HB-9 নম্বরের নতুন বাস রুটকে।
এই বাস চলবে –নতুন রাস্তা → হাওড়া ময়দান → হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন → হাওড়া ব্রিজ → এমজি রোড পর্যন্ত।
মোট ১৫টি পারমিট দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৩টি ইলেকট্রিক বাসের জন্য সংরক্ষিত। বাকি বাসগুলির জন্য CNG বা বৈদ্যুতিক চালিত যানকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পরিবেশ বান্ধব এই উদ্যোগ আগামী দিনে পরিবহণকে করবে আরও উন্নত ও স্বাস্থ্যকর।
সরকারি উদ্যোগে স্বস্তি, পরিবহণে গতি ও পরিবেশের ভারসাম্য
শহরের নাগরিকরা যেমন স্বস্তি পেলেন অটো-বাস পরিষেবার বিস্তারে, তেমনই পরিবেশপ্রেমীদের জন্য এটি এক বড় সুখবর। বৈদ্যুতিক এবং সিএনজি চালিত অটো-বাস ব্যবহারে বায়ুদূষণ অনেকটাই কমবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
বিশেষ করে নাগেরবাজার, দমদম, সোদপুর, মাঝেরহাটের মতো জায়গায় এতদিন যাতায়াতে সমস্যা হতো। ট্রেন থেকে নেমে গন্তব্যে পৌঁছতে সময় লাগত অনেক। নতুন রুটগুলো চালু হলে যাত্রীদের সময় বাঁচবে এবং যাতায়াতের খরচও কমবে।
রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশির হাওয়া শহর জুড়ে। আগামী দিনে এই ধরনের পরিকল্পনা আরও বিস্তৃত হলে, কলকাতা হয়ে উঠবে সত্যিকারের ‘স্মার্ট ট্রান্সপোর্ট সিটি’।