বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী মানেই রীতিমতো উৎসব। নতুন জামাইকে ঘিরে চলে সাজ সাজ রব, জমে ওঠে খাওয়াদাওয়ার আসর। কিন্তু বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কপালে সে সৌভাগ্য জোটেনি—কমপক্ষে ‘শ্বশুরবাড়ি’ অর্থে। আজ সকালে নিউটাউনের ইকো পার্কে হাঁটতে এসে সাংবাদিকদের সামনে খোলামেলা স্বীকারোক্তি, “আমি এমন জামাই, যার শ্বশুরবাড়িই নেই। দেখি কোথায় জামাইষষ্ঠী পালন করি!” — দিলীপ ঘোষের এমন সরল আক্ষেপে চমকে ওঠেন সকলে।
স্ত্রীর মামাবাড়িতেই ধুমধাম জামাইষষ্ঠী
মুকুন্দপুরের অর্জুন পার্কে সেলিব্রেশন
তবে কথায় বলে, ‘যার গৃহ নেই, তার গৃহপ্রবেশও হয় রাজকীয়!’ শ্বশুরবাড়ি না থাকলেও দিলীপ ঘোষকে জামাইষষ্ঠীর আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে হয়নি। তিনি স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে হাজির হন রিঙ্কুর মামারবাড়ি—অর্থাৎ দক্ষিণ কলকাতার মুকুন্দপুরের অর্জুন পার্কে। সেখানেই নাকি নবদম্পতির জন্য বিশেষ আয়োজন হয়েছিল। চোখে পড়েছে, শ্বেত পোশাকে সজ্জিত দিলীপ বাবু আর পাশে গাঢ় পেঁয়াজ রঙা হ্যান্ডলুম শাড়িতে অনন্যা রিঙ্কু। উপস্থিত ছিলেন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও কিছু অনুগামী। এ যেন এক নতুন যুগের জামাইষষ্ঠী—কাগজে কলমে শ্বশুরবাড়ি না থাকলেও ভালোবাসায় কোনো খামতি নেই।
রাজনীতির মঞ্চে দূরে দিলীপ!
নেতাজি ইনডোরে অমিত শাহের সভায় ডাক পাননি ‘এক্স’ প্রেসিডেন্ট
আজ দুপুরেই নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বিজেপির সভায় উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ, সুকান্ত মজুমদারসহ রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ মুখরা। কিন্তু কোথাও দেখা গেল না দিলীপ ঘোষকে। সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, “দল মনে করেনি, তাই ডাকেনি।” তবে সাফ জানিয়ে দেন, এখনও তিনি দলের সঙ্গেই আছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর আলিপুরদুয়ার সফরের সময়ও দিলীপ ছিলেন না। আবার আজ অমিত শাহের সভাতেও অনুপস্থিত। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিলীপ ঘোষের এই দূরত্ব আসন্ন পরিবর্তনের ইঙ্গিত হতে পারে।
উল্লেখ্য, বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী—কিন্তু নেই শ্বশুরবাড়ি। তাই বলে কি জামাই আদর থেমে থাকে? অন্তত দিলীপ ঘোষের ক্ষেত্রে তো নয়!
স্ত্রীর মামার বাড়িতে হয়ে গেল একেবারে ঘরোয়া, তবু জমকালো জামাইষষ্ঠী। আর রাজনীতির উত্তাপ থেকে খানিক ছুটি নিয়ে ব্যক্তিগত মুহূর্ত উপভোগ করলেন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা।