শহরের গণপরিবহণে নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। বহু প্রতীক্ষিত মেট্রো রিং প্রকল্প এখন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। এসপ্ল্যানেড, নিউ গড়িয়া হয়ে সোজা বিমানবন্দর—এই রিং রুট চালু হলে বদলে যাবে শহরের মেট্রো যাত্রা। তবে আপাতত একটি ছোট বাধা রয়ে গিয়েছে চিংড়িঘাটা অংশে।
কোথায় আটকে আছে কাজ?
চিংড়িঘাটা ক্রসিংয়ে এখনো ৩৬৬ মিটার পথে নির্মাণ কাজ চলছে। দুটি স্প্যান রয়েছে রাস্তার ওপর দিয়ে, সেখানে গার্ডার লঞ্চিংয়ের জন্য ট্র্যাফিক ব্লক প্রয়োজন। সূত্রের খবর, RVNL ইতিমধ্যেই দুটি উইকেন্ড নাইট ব্লকের আবেদন করেছে।
বাকিটা অংশ কবে হবে শেষ?
বাকি ৩০৪ মিটার রুট পূর্ব নিকাশি খাল এবং সুকান্ত নগরের ওপর দিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ট্র্যাফিক ব্লক প্রয়োজন হবে না, ফলে দ্রুত শেষ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
কীভাবে কাজ করবে এই রিং রুট?
এই রিং রুটে থাকবে তিনটি প্রধান ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট—এসপ্ল্যানেড, নিউ গড়িয়া এবং সল্টলেক সেক্টর ফাইভ। যেমন কেউ এসপ্ল্যানেড থেকে ব্লু লাইনে উঠে নিউ গড়িয়া যেতে পারবে। সেখান থেকে অরেঞ্জ লাইনে চেপে পৌঁছানো যাবে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ। আবার গ্রীন লাইনে ট্রান্সফার করে ফিরে আসা যাবে এসপ্ল্যানেডে। এই রুট পুরোপুরি কার্যকর হবে তখনই, যখন শিয়ালদহ-এসপ্ল্যানেড অংশের ২.৬ কিলোমিটার মেট্রো রুটের কাজ শেষ হবে।
পার্পল ও ইয়েলো লাইনে কী অবস্থা?
পার্পল লাইন (জোকা-টালিগঞ্জ-এসপ্ল্যানেড): কিডারপুরে জমি সংক্রান্ত মামলার কারণে কিছু সমস্যা থাকলেও, বাকি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনগুলোর কাজ চলছে পুরোদমে।
ইয়েলো লাইন (নোয়াপাড়া-এয়ারপোর্ট): এ বছরের মধ্যেই শেষ করার প্রস্তুতি। চালু হলে নিউ গড়িয়া থেকে যাত্রীরা ব্লু লাইনে উঠে, বিমানবন্দর ঘুরে আবার নিউ গড়িয়ায় ফিরতে পারবেন অরেঞ্জ লাইনে।
কী হবে লাভ?
এই রিং রুট চালু হলে, যাত্রীদের জন্য খুলে যাবে এক আধুনিক, দ্রুত এবং কার্যকর মেট্রো যোগাযোগ ব্যবস্থা। সময় বাঁচবে, বদলাবে যাত্রার অভিজ্ঞতা—আর কলকাতা পাবে দেশের অন্যতম স্মার্ট মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক।