রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্কের কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন। অভিযোগ, ‘অস্বীকৃত’ বিদেশি ডিগ্রি ব্যবহার করে বেআইনিভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছেন তিনি।
মেডিক্যাল কাউন্সিলের নোটিশ
এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। শান্তনুকে তলব করে ২১ মে দুপুর ২টোর সময় হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এথিক্যাল কমিটির সামনে। লেটারহেডে গ্লাসগোর FRCP ডিগ্রি ব্যবহার করায় আপত্তি জানিয়েছে কাউন্সিল। অভিযোগ, ওই ডিগ্রি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে নথিভুক্ত নয়।
শান্তনুর জবাব- “আমি নিয়ম মেনেই আবেদন করেছি”, আদৌ কি তাই?
এই অভিযোগ অস্বীকার করে শান্তনু জানান, বহু আগেই তিনি গ্লাসগোর FRCP ডিগ্রি নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছেন। এমনকি সেই বাবদ ১০ হাজার টাকার ফিও জমা দিয়েছেন। তার পরেও কোনও উত্তর মেলেনি কাউন্সিলের পক্ষ থেকে। এখন তাঁর মতে, অভিযোগ এনে তাঁকেই দোষারোপ করা হচ্ছে।
RTI আইনে তথ্য জানার চেষ্টা
বিতর্কের মাঝেই শান্তনু আবেদন করেছেন তথ্য জানার অধিকার আইনে। RTI-তে জানতে চেয়েছেন, কোন আইনের কোন ধারা অনুযায়ী তাঁকে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি ৪৮ ঘণ্টা আগেই আবেদন করেছি। নিয়ম অনুযায়ী, জীবন বা স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জবাব দিতে হয়।”
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
২০১৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন শান্তনু সেন। আর জি কর কাণ্ডের সময়ে দলের অন্দরেই যাঁরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শান্তনু। পরে তৃণমূল তাঁকে সাসপেন্ড করে। এরপরও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে অংশ নেওয়ায় ফের চর্চায় উঠে আসেন তিনি।
একসময় মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট
এখানেই শেষ নয়। একসময় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট পদেও ছিলেন শান্তনু। সেই তিনিই এখন ওই কাউন্সিলেরই তদন্তের মুখোমুখি। এখন পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, এখন সেদিকেই নজর চিকিৎসক মহল থেকে রাজনৈতিক মহলের।