একটি বেসরকারি হাসপাতালে শিশু জন্মের পর ছোট্ট এক অপারেশনের সময় ঘটে যায় ভয়াবহ এক ঘটনা। অভিযোগ, অপারেশন চলাকালীন এক নার্স এতটাই মশগুল ছিলেন নিজের মোবাইল ফোনে, যে তার অসাবধানতায় কেটে যায় এক নবজাতকের আঙুল। শিশুর পরিবারের অভিযোগ, অপারেশনের সময় নার্স মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলছিলেন। এতটাই নিমগ্ন ছিলেন নিজের কথোপকথনে, যে অস্ত্রোপচারের সময়ে নিজের দায়িত্ব ভুলে যান তিনি। এরই ফলশ্রুতিতে, নবজাতকের একটি আঙুল সম্পূর্ণভাবে কেটে যায়।
বাবা-মায়ের অভিযোগ
শিশুর বাবা জানান, “ওই নার্স অপারেশন টেবিলের পাশেই ফোনে কথা বলছিলেন। কেউ কিছু বললে উলটে তর্ক করছিলেন। হঠাৎ দেখি রক্তপাত শুরু হয়েছে। পরে জানতে পারি আমার ছেলের আঙুলটাই কেটে গেছে।” ঘটনার পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানানো হয়। যদিও কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে দাবি পরিবারের।
হাসপাতালের প্রতিক্রিয়া
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং দোষী নার্সের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ
শিশুর পরিবার স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “এ ধরনের ঘটনার জন্য শাস্তি হওয়া উচিত। তদন্তের পরই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনায় উঠছে বড় প্রশ্ন
এই ঘটনা শুধু একজন নার্সের গাফিলতির চিত্র তুলে ধরছে না, বরং গোটা স্বাস্থ্যব্যবস্থার এক অংশে কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার আশঙ্কাজনক ছবিও ফুটে উঠছে। নবজাতকের জীবনে এর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে। প্রশ্ন উঠছে—কীভাবে একজন চিকিৎসাকর্মী এত বড় দায়িত্বে থেকেও মোবাইল ব্যবহারে ব্যস্ত থাকতে পারেন?
উল্লেখ্য, এই মর্মান্তিক ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে সমাজের প্রত্যেকেরই উচিত—স্বাস্থ্য পরিষেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতনতা ও জবাবদিহিতা দাবি করা। একজন অসাবধান কর্মীর ভুলে আর একটি নিষ্পাপ জীবনের এমন ক্ষতি মেনে নেওয়া যায় না।