Violence in Bengal : দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি এলাকায় ফের উত্তপ্ত পরিস্থিতি। সূত্র অনুযায়ী, একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চরমে পৌঁছায়। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে যায় যে, পুলিশকে শেষ পর্যন্ত সাদা পতাকা ওড়াতে বাধ্য হতে হয় বলেই অভিযোগ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে তীব্র রাজনৈতিক রং লেগেছে এই ঘটনার গায়ে।
৩০-৩৫ পুলিশকর্মী আহত, পুড়ল পাঁচটি গাড়ি
জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় অজ্ঞাত কারণে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কিন্তু স্থানীয় একদল দুষ্কৃতী আচমকাই পুলিশের উপর চড়াও হয়। পাথর ছোঁড়া শুরু হয়, লক্ষ্য করা হয় পুলিশকর্মীদের ও তাদের গাড়িকে। ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন বহু পুলিশকর্মী। সূত্রের খবর, কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে মোট পাঁচটি সরকারি গাড়িতে। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যে, কিছুক্ষণের জন্য এলাকা কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়।
“পুলিশ সাদা পতাকা ওড়াতে বাধ্য”— বিস্ফোরক শুভেন্দু
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “প্রচণ্ড মারধর, ইট-পাটকেল, গাড়ি পোড়ানো— এসব কিছুই মিডিয়াতে আছে। পুলিশ বাধ্য হয়েছে সাদা পতাকা ওড়াতে। এটা কি পশ্চিমবঙ্গ? নাকি জঙ্গলরাজ চলছে?” তিনি আরও বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু যেখানে পুলিশই আক্রান্ত, সেখানকার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত হবে?”
রাজনৈতিক চাপানউতোরে ফের উত্তপ্ত বাংলা
এই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি, তবে প্রশাসনিক স্তরে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি উচ্চপর্যায়ের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে জেলা পুলিশের তরফ থেকে। তবে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে— রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমবর্ধমান এই ধরণের হিংসাত্মক পরিস্থিতির দায় কে নেবে?
বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রাজ্য প্রশাসনের “নীরবতা ও ব্যর্থতা”-ই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। তাঁরা এই ঘটনায় অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও ক্ষতিগ্রস্ত পুলিশকর্মীদের যথাযথ চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
জনমনে আতঙ্ক, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
এই ঘটনায় শুধু প্রশাসনিক মহলই নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। “যদি পুলিশের উপর এইভাবে হামলা হয়, তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ কতটা সুরক্ষিত?”— এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “আমরা এমন কাণ্ড আগে কখনও দেখিনি। পুলিশের গাড়িতে আগুন? এটা তো সিনেমার মতো লাগছে!”
এই ঘটনায় যেমন প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রশ্ন উঠছে, তেমনই রাজনৈতিক বিরোধের আঁচ আরও স্পষ্ট হচ্ছে। আগামী দিনে এই ইস্যু ঘিরে বিধানসভায় উত্তপ্ত আলোচনা অবশ্যম্ভাবী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে আপাতত, শান্তি ফিরিয়ে আনাই চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে
#WATCH | Kolkata | On clash between miscreants and police in South 24 Parganas, West Bengal LoP & BJP leader Suvendu Adhikari says, “…30-35 police personnel were injured. 5 police vehicles torched and vandalised… The unruly mob pelted stones at the police, and the police… pic.twitter.com/UXCUDcHmuK
— ANI (@ANI) June 12, 2025