জীবনে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখেও কত পড়ুয়া পিছিয়ে যায় শুধু টাকার অভাবে। অনেকের পরিবারে দু’বেলা খাওয়া জোটানোই দায়, সেখানে কলেজে পড়া যেন বিলাসিতা। এমন অসংখ্য ছাত্রছাত্রীর পাশে দাঁড়াতেই এসেছে বিদ্যাধন স্কলারশিপ (Vidyadhan Scholarship 2025)। একবার সুযোগ পেলে, এই স্কলারশিপ হতে পারে স্বপ্নপূরণের সিঁড়ি।
কারা পাবেন এই স্কলারশিপ?
বিদ্যাধন স্কলারশিপটি পরিচালনা করছে সরোজিনী দামোদরণ ফাউন্ডেশন (Sarojini Damodaran Foundation)। স্কলারশিপ দেওয়া হয় শুধুমাত্র সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের, যারা আর্থিকভাবে দুর্বল অথচ পড়াশোনায় ভালো।
যোগ্যতা কী?
মাধ্যমিকে কমপক্ষে ৮০% নম্বর (SC/ST/দিব্যাঙ্গদের জন্য ৬৫%)
বার্ষিক পারিবারিক আয় ২ লক্ষ টাকার কম
পড়ুয়াকে এখনই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে হবে
কত টাকা মিলবে?
এই স্কলারশিপের আওতায় ছাত্রছাত্রীরা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় বছরে ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত স্টাইপেন্ড পেয়ে থাকেন। এই টাকা দেওয়া হয় একেবারে সরাসরি পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে, যাতে কোনও প্রকার আর্থিক চাপ ছাড়াই পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া যায়।
কীভাবে আবেদন করবেন?
আবেদন পদ্ধতি একেবারে অনলাইনেই। কোনও দালাল বা বাইরে যাওয়ার দরকার নেই।
- 1. অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যান (https://www.vidyadhan.org/)
- 2. “Apply Now” অপশনে ক্লিক করুন
- 3. ইমেল আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন
- 4. লগইন করে ফর্ম পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করু
- 5. সব তথ্য ভালোভাবে যাচাই করে সাবমিট করু
আবেদন সফল হলে মেল বা ফোনে জানানো হবে।
দরকারি ডকুমেন্টের তালিকা
- মাধ্যমিকের মার্কশিট
- পরিবারের আয়ের সার্টিফিকেট
- আধার কার্ড / মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড
- প্রতিবন্ধকতার প্রমাণ (যদি থাকে)
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- বৈধ মোবাইল নম্বর ও ইমেল আইডি
শুধু আবেদন নয়, বাছাইও হবে পরীক্ষা দিয়ে
আবেদন করার পরেই কিন্তু স্টাইপেন্ড পাবেন না। প্রথমে হবে অনলাইন পরীক্ষা, তারপর ইন্টারভিউ। যাঁরা এই দুই ধাপে ভাল ফল করবেন, তাঁরাই এই স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিত হবেন।
শেষ তারিখ, ভুললেই সর্বনাশ!
এই স্কলারশিপে আবেদনের শেষ তারিখ ২৫ জুলাই, ২০২৫। তার পরে কোনও আবেদন গ্রহণ করা হবে না। তাই সময় থাকতে থাকতে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে ফেলুন।
স্বপ্নের পথে এক ধাপ এগিয়ে
যাঁরা অর্থাভাবে স্বপ্ন বিসর্জন দিতে বাধ্য হচ্ছেন, তাঁদের জন্য বিদ্যাধন স্কলারশিপ যেন নতুন আলো। এক ক্লিকেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন নিজের স্বপ্নপূরণের চাবিকাঠি।