পশ্চিম মেদিনীপুরের মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকা জুড়ে। মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোনোর পর আশানুরূপ নম্বর না পেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল এক পরীক্ষার্থী। জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম ঋতম ঘোষ। বাড়ি গোপীনাথপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঋতম এবছর শ্রী অরবিন্দ বিদ্যামন্দির থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৩৪৭। পরিবারের দাবি, এই নম্বর দেখে সে খুব হতাশ হয়ে পড়ে। এরপরেই ঘরে গিয়ে সুযোগ বুঝে সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দেয় ঋতম।
জানা যায়, ঘটনার সময় ঋতমের মা একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিলেন আর তার বাবা বাইরে কাজে গিয়েছিলেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তার পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি ঋতমকে নিয়ে যায় স্থানীয় হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা ঋতমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঋতমের এই অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। তার বন্ধুবান্ধব, শিক্ষক, প্রতিবেশীরা কেউই বিশ্বাস করতে পারছেন না যে সে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
আরোও পড়ুনঃ রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে বড়বাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়— তদন্তে নেমে আরও একজনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ!
স্কুলের শিক্ষক গৌতম জানা জানান, “ঋতম পড়াশোনায় ভালোই ছিল। নম্বর একটু কম হয়েছে বলে যে ও এমন কাজ করবে, সেটা ভাবতেই পারছি না।” এই ঘটনার পর ফের প্রশ্ন উঠছে—রেজাল্ট নিয়ে এত মানসিক চাপ কিশোরদের ওপর কেন? মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এই বয়সে ছাত্রছাত্রীরা অনেক সময় ছোট ছোট বিষয়েও ভেঙে পড়ে। তাই অভিভাবক এবং শিক্ষকদের আরও যত্নবান হওয়া দরকার।