Global Liveability Index 2025 : শহরের ধুলো, যানজট আর দূষণের মধ্যে যাঁরা দিনের পর দিন জীবন কাটাচ্ছেন, তাঁদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে—এই পরিবেশে বাসযোগ্যতা কতটা? কিন্তু আশার খবর হল, আন্তর্জাতিক সংস্থা Economist Intelligence Unit (EIU)-এর প্রকাশিত Global Liveability Index ২০২৫-এ বিশ্বের সবচেয়ে ‘অনাবাসযোগ্য’ বা worst 50 cities-এর তালিকায় একটিও ভারতীয় শহর নেই।
আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে ভারতের শহর
বিশ্বের ১৭৩টি শহরের মধ্যে জীবনযাত্রার মান বিচার করে তৈরি হয়েছে এই তালিকা। EIU-এর এই সূচকে পাঁচটি মূল বিষয়ের ভিত্তিতে শহরগুলিকে মূল্যায়ন করা হয়েছে—স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ এবং অবকাঠামো। এই সূচকের নিচের দিকে স্থান পাওয়া শহরগুলিতে এই মানদণ্ডে যথেষ্ট ঘাটতি ধরা পড়েছে। সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কুস তালিকার একেবারে শেষে অবস্থান করছে। স্কোর মাত্র ৩০.৭। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে ত্রিপোলি (লিবিয়া), ঢাকা (বাংলাদেশ) এবং কারাচি (পাকিস্তান)—এমন শহর, যেখানে যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্বল পরিকাঠামো বাসযোগ্যতাকে চরমভাবে প্রভাবিত করেছে।
ভারতের জন্য স্বস্তির খবর
যদিও এই সূচকে ভারতীয় শহরগুলির নির্দিষ্ট স্থান উল্লেখ করা হয়নি, তবুও রিপোর্ট অনুযায়ী, নয়াদিল্লি এবং মুম্বই যথাক্রমে ১২০তম ও ১২১তম স্থানে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর অর্থ, ভারতের শহরগুলিতে সমস্যা থাকলেও, তা বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন শহরগুলির সঙ্গে তুলনায় অনেকটাই ভালো অবস্থানে। বিশেষজ্ঞদের মতে, “ভারতের শহরগুলিতে ট্রাফিক, দূষণ, জল সরবরাহের সমস্যা থাকলেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা এখনও অনেক উন্নত। একই সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এই সূচকে স্থান না পাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।”
ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা
তালিকায় না থাকার মানে এই নয় যে ভারতের শহরগুলি আদর্শ। বরং এটি একটি সতর্কবার্তা ও সম্ভাবনার ইঙ্গিত। প্রশাসনিক স্তরে সঠিক পরিকল্পনা এবং নাগরিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে শহরগুলিকে আরও বাসযোগ্য করে তোলার দিকেই নজর দিতে হবে। বিশ্বব্যাপী শহরগুলির তুলনায় যদি ভারতের শহরগুলি তুলনামূলকভাবে ভালো পারফর্ম করে, তাহলে তা শুধু দেশের ভাবমূর্তিই উজ্জ্বল করে না, নাগরিকদের জীবনমানও অনেকাংশে উন্নত করে।