পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এবার নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে তুরস্কের নাম। কারণ প্রকাশ্যেই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের সামরিকভাবে সাহায্য করছে তুরস্ক। অত্যাধুনিক ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র—সবই তুরস্ক থেকে পেয়েছে ইসলামাবাদ, এমনটাই পাকিস্তানের মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর।
পাকিস্তান ও তুরস্কের আদর্শগত মিল!
বিশ্লেষকদের মতে, তুরস্ক ও পাকিস্তানের মধ্যে ইসলামিক মতাদর্শের মিলই এই ঘনিষ্ঠতার মূল কারণ। ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার পিছনে সেই মতাদর্শিক একাত্মতার বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের পাল্টা কূটনৈতিক কৌশল—বন্ধ হতে পারে বাণিজ্য
এই পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষ থেকে একাধিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, তুরস্কের সঙ্গে সমস্ত রকম আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতা কুলদীপ সিং রাঠোর প্রকাশ্যে দাবি করেছেন, তুরস্ক থেকে আপেল সহ অন্যান্য পণ্যের আমদানি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হোক।
ভারত কী আমদানি করে তুরস্ক থেকে?
তুরস্ক থেকে ভারত মূলত ভোজ্য ও জ্বালানি তেল, নানা যন্ত্রাংশ, নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর, অজৈব রাসায়নিক, সিমেন্ট, ড্রাই ফ্রুটস, আপেল এবং পশুখাদ্য আমদানি করে। তুরস্কের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ হলে এই পণ্যগুলির আমদানিতে বড় ধাক্কা লাগতে পারে।
তুরস্ক কী আমদানি করে ভারত থেকে?
অন্যদিকে ভারত থেকে তুরস্ক আমদানি করে যানবাহন, ওষুধ, ইঞ্জিনিয়ারিং সরঞ্জাম, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ম্যান মেড সুতো, এবং নানা ধরনের পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য। এমনকী ভারতের থেকে উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্রপাতিও যায় তুরস্কে।
অতীতে তুরস্ককে সাহায্য করেছিল ভারত
২০২৩ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক। প্রাণ হারান অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। সেই সময় মানবতার খাতিরে ভারত “অপারেশন দোস্ত” চালিয়ে তুরস্ককে সাহায্য করেছিল খাদ্য, ওষুধ ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে। কিন্তু সেসব আজ ভুলে গিয়ে, পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক।