গান্ধীনগরের এক বিশাল জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করলেন এক সাহসী ঘোষণা। তিনি বললেন, “আজ দেশের মানুষ চায়, অলিম্পিক যেন ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়।” তাঁর গলায় ছিল আত্মবিশ্বাস, আর চোখেমুখে ছিল দেশের স্বপ্নপূরণের দৃঢ়তা।
আগের ভারত আর আজকের ভারতের মধ্যে পার্থক্য বিশাল
মোদী স্পষ্টভাবে জানান, “এক সময় এমন কথা ভাবারও সাহস ছিল না আমাদের। কিন্তু আজকের ভারত বদলে গেছে। এখন আমরা শুধু অলিম্পিকে অংশ নিতে চাই না, আমরা চাই বিশ্ব আমাদের মাটিতেই আসুক, আমাদের আয়োজন দেখুক।”
তিনি আরও বলেন, “ভারত এখন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। আমাদের যুবসমাজ, আমাদের ক্রীড়াবিদরা আজ বিশ্বমঞ্চে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। এবার সময় এসেছে, বিশ্বের সব চেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ আমরা নিজেরাই আয়োজন করি।”
বিশ্ব দরবারে ভারতের অবস্থান জানিয়ে দিলেন মোদী
জনসভার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে অলিম্পিক আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, তা শুধু একটি স্বপ্ন নয়—একটি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বার্তাও বটে। মোদী বুঝিয়ে দিলেন, ভারত এখন আর পিছনে থাকছে না। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আয়োজনের মতো দায়িত্ব নিতে এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত এই দেশ।
জনতার মধ্যে উন্মাদনা, তৈরি হচ্ছে নতুন আশা
মোদীর বক্তব্যের পরই জনতার মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যায়। অনেকেই মনে করছেন, এই ঘোষণা যদি বাস্তবে রূপ পায়, তবে ভারতের ইতিহাসে তা হবে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রেও শুরু হতে পারে এক নতুন অধ্যায়।
এখন দেখার, এই স্বপ্ন বাস্তবে কতটা বাস্তবায়ন হয়, আর কত দ্রুত এগোয় অলিম্পিক ভারতের ঘরে আনার দৌড়।