TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

এবার অপারেশন মোদী-শাহ! শ্রীরামপুরে বিস্ফোরক কল্যাণ, প্রশ্ন পহেলগাঁও হামলা ও কেন্দ্রের ব্যর্থতা ঘিরে

শ্রীরামপুর আদালত চত্বর থেকে মোদী-শাহকে সরাসরি নিশানা করে বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পহেলগাম হামলা, অপারেশন সিঁদুর, ও ২০২৪-এর লোকসভা ভরাডুবি তুলে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করলেন। পাল্টা তোপ বিজেপিরও।

Debapriya Nandi Sarkar

রবিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন—‘২০২৬-এ হবে অপারেশন বাংলা।’ সেই মন্তব্যের ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা জবাব এল তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। শ্রীরামপুর আদালত চত্বর থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ সাফ জানিয়ে দিলেন—“এ বার অপারেশন মোদী, অপারেশন শাহ হবে।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা চরমে।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

শাহের ভাষণের পাল্টা জবাব

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অপারেশন বাংলা মানে কী? আমাকে, আপনাকে খুন করতে চাইছে ওরা। গুন্ডা, ধাপ্পাবাজ, খুনি সব ওদের সঙ্গে আছে। কিন্তু বাংলার মানুষ ওদের সঙ্গে নেই। ভোট হলে ওদের কাঁচকলা দেখিয়ে দেবে।” এর পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘অপদার্থ’ বলেও আক্রমণ করেন।

পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলা নিয়ে প্রশ্ন

কল্যাণের প্রশ্ন, “পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি এল, গুলি চালাল, আবার হেঁটে বেরিয়েও গেল! বিএসএফ কী করছিল? মোদী-শাহ ঘুমোচ্ছিলেন?” তাঁর বক্তব্য, এই ব্যর্থতার দায় এড়াতে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মতো রাজনৈতিক প্রচার চালানো হচ্ছে। “সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ করে মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া সম্ভব নয়,” বলেন তিনি।

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

‘অপারেশন সিঁদুর’ ঘিরে উত্তপ্ত রাজনৈতিক বিতর্ক

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে বিজেপির অভিযোগ, তিনি নাকি সংখ্যালঘুদের তুষ্ট করতে এ কাজ করেছেন। সেই বিতর্কে ইন্ধন দিয়েই শাহ বলেছিলেন, “এখন অপারেশন বাংলা হবে।” কল্যাণের বক্তব্য, “অপারেশন সিঁদুর করতে হলো কেন? কারণ ওরা ব্যর্থ। দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করতে পারেনি। এখন নাটক করছে।”

২০২৪-এর ফলাফল তুলে কটাক্ষ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য—“রিগিং বন্ধ করতে পারলে মমতার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে,”—এরও জবাব দেন কল্যাণ। তিনি বলেন, “২০২৪-এ তো বলেছিলেন ‘৪০০ পার’, শেষমেশ ২৪০-তে গুটিয়ে গেলেন। রিগিং তো আপনাদেরই লোক, নির্বাচন কমিশনও আপনারা চালান। সাহস থাকলে সত্যিকারের ভোট করান, দেখিয়ে দেব।”

পাল্টা আক্রমণ বিজেপির

এই বিস্ফোরক মন্তব্যের জবাব দিতে দেরি করেননি বিজেপি নেতা প্রণয় রায়। তিনি বলেন, “পহেলগামের জঙ্গিরা কোথায় আছে, তৃণমূল নেতারাই জানেন মনে হয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গে বহু জঙ্গির কাছ থেকে আধার ও ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়েছে।” তাঁর প্রশ্ন, “তাহলে কল্যাণ বা তৃণমূল নেতারা বলুন, জঙ্গিরা কোথায় লুকিয়ে আছে?”

রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে

এই মন্তব্যপাল্টা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে হুগলিতে। লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়েও তৃণমূল ও বিজেপির সংঘাত যে আরও ধারালো হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। রাজনীতিতে এখন বড় প্রশ্ন—‘অপারেশন বাংলা’ না ‘অপারেশন মোদী-শাহ’—শেষ হাসি কে হাসবে?