তাজা আদায় থাকা একটি শক্তিশালী উপাদান হলো জিনজেরল (Gingerol)। এই যৌগ হজমের প্রক্রিয়া মসৃণ করতে সাহায্য করে এবং পাকস্থলীতে তৈরি হওয়া অতিরিক্ত অ্যাসিড কমিয়ে দেয়। এতে করেই বুকজ্বালা ও গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা থেকে মেলে উপশম। বিশেষ করে, ভারী খাবারের পর কিংবা বাইরে ঘুরে এসে পেটে অস্বস্তি শুরু হলে কয়েক টুকরো কাঁচা আদা চিবিয়ে খাওয়া বা সামান্য আদার রস পান করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বস্তি অনুভব করা যায়।
কীভাবে খাবেন আদা?
তাজা আদা ব্যবহার করার একাধিক উপায় আছে। চাইলে সরাসরি ছোট টুকরো করে মুখে রেখে চিবানো যায়। আবার হালকা গরম জলে এক চামচ আদার রস মিশিয়ে দিনে একবার পান করলেও উপকার পাওয়া যায়। আরও একটি উপায়—চা বানানোর সময় আদা কুচি ফেলে দেওয়া। এতে শুধু স্বাদ বাড়ে না, শরীরও হালকা অনুভব করে। তবে খালি পেটে আদা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
সপ্তাহে কয়েকদিন খেলেই মিলবে ফল
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কেবল সমস্যার সময় আদা খেলেই হবে না। নিয়মিত সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারদিন আদা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে, অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের প্রবণতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যাঁদের লিভারের সমস্যা বা গর্ভাবস্থায় থাকা মহিলারা, তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্য অতিরিক্ত আদা না খাওয়ার পরামর্শই দেন চিকিৎসকরা।
দামি ওষুধ নয়, রোজকার অভ্যেসেই রয়েছে সমাধান
আজকের দিনে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে অ্যাসিডিটির সমস্যা একেবারে নিত্যসঙ্গী। তবে প্রতিদিনকার কিছু ছোট অভ্যাস বদলেই এই সমস্যাকে সামলে ফেলা সম্ভব। তার মধ্যে আদা খাওয়া একটি কার্যকর উপায়—সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। যেখানে ওষুধ খেতে গেলে ভাবতে হয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা, সেখানে কাঁচা আদা এমন একটি বিকল্প, যা সারা শরীরেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।