আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে তাঁর সক্রিয়তার প্রমাণ রাখতে বারবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এইবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যে উঠে এল এক নতুন দাবি—তিনি নিজেই নাকি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ থামিয়েছেন! আর তাই তাঁর প্রাপ্য ছিল ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’। যদিও তাঁর নিজেরই স্বীকারোক্তি—এই পুরস্কার তিনি পাবেন না।
ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের আলোচনায় এসেছেন। তাঁর মতে, ২০২৫ সালের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যে তিনি এমন এক কূটনৈতিক ভূমিকা পালন করেছিলেন, যা ওই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ থামাতে সাহায্য করে।
পাকিস্তানের স্বীকৃতি, ভারতের প্রত্যাখ্যান
এই দাবিকে আরও দৃঢ় করতে পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। ইসলামাবাদের মতে, ট্রাম্পের ‘সাহসী কূটনীতি’ ও ‘ব্যতিক্রমী নেতৃত্ব’ সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে কার্যকর ভূমিকা নিয়েছিল। অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন এই দাবি। মোদীর বক্তব্য, ওই সময় কোনও মার্কিন হস্তক্ষেপ হয়নি, বরং দুই দেশের সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে নিজস্বভাবে আলোচনার মাধ্যমেই উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
স্বীকৃতি চাওয়ার বার্তা
ট্রাম্পের এমন দাবি অবশ্য একেবারে নতুন নয়। এর আগেও তিনি উত্তর কোরিয়া, আফগানিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে নিজের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছেন এবং সেসব ক্ষেত্রেও নোবেল পাওয়ার দাবি তুলেছেন। তবে এবার ভারত-পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আবারও তাঁর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ক্ষমতার গুরুত্ব বোঝাতে চাইছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আসল উদ্দেশ্য কী?
বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের এই বার্তা নিছক নির্বাচনী প্রচারের অংশও হতে পারে। বিদেশে শান্তি রক্ষার ভূমিকায় নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করাই হতে পারে তাঁর অন্যতম উদ্দেশ্য।
মোদীর কড়া বার্তা
এই প্রসঙ্গে মোদীর স্পষ্ট বক্তব্য, “যুদ্ধবিরতি ও আলোচনার সিদ্ধান্ত আমাদের অভ্যন্তরীণ চ্যানেলের মাধ্যমে হয়েছে। বাইরের কোনও দেশের মধ্যস্থতা আমাদের প্রয়োজন হয়নি।” যদিও ট্রাম্প নিজে জানেন, তাঁর এ দাবিতে নোবেল পুরস্কার মিলবে না, তবু তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের প্রভাব দেখানোর চেষ্টা যে জারি রয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।