Healthy Relationships : মেসেজের উত্তর নেই। ফোন করলে ব্যস্ত। কিছু বললেই প্রতিক্রিয়া—“আমি কি একটু নিজের মতো থাকতে পারি না?”
পরিচিত মনে হচ্ছে? একেবারেই স্বাভাবিক। কারণ আধুনিক সম্পর্কের অন্যতম চাবিকাঠি হয়ে উঠছে একটি শব্দ—স্পেস।
একা সময় মানেই কি দূরত্ব?
অনেকেই মনে করেন, সম্পর্কের মধ্যে একা সময় চাওয়া মানে সম্পর্ক থেকে সরে আসা বা ভালোবাসার ঘাটতি। কিন্তু বাস্তবতা তা নয়। একা সময় কাটানো বা ‘me time’ নেওয়ার অর্থ নিজেকে বোঝা, নিজের আবেগগুলো বিশ্লেষণ করা। এই একাকিত্বই মাঝেমাঝে হয়ে উঠতে পারে সম্পর্ক বাঁচানোর রসদ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কেউ ক্রমাগত সঙ্গীর সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন এবং এক মুহূর্তেরও জন্য নিজের জন্য সময় না রাখেন, তবে সেখানে ক্লান্তি এবং বিরক্তি তৈরি হতে বাধ্য। সম্পর্ক তখন হয়ে ওঠে দমবন্ধ করে দেওয়া এক আবরণ।
‘স্পেস’ মানে কিন্তু একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া নয়। বরং তা বোঝায় দু’জন মানুষ যেন তাদের নিজস্ব চিন্তা, অভ্যেস ও শখকে সময় দিতে পারেন। এতে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ে এবং একে অপরকে নতুন চোখে দেখার সুযোগ তৈরি হয়। বিশ্বাসযোগ্যতা, মানসিক স্থিতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা বাড়াতে সহায়ক এই স্পেস। ঝগড়াঝাঁটি কমে, ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ কমে আসে। এবং, সম্পর্ক ফিরে পায় এক নতুন শক্তি।
কীভাবে স্পেস চাইবেন?
সঙ্গীর কাছ থেকে স্পেস চাওয়া মানেই সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাচ্ছে—এমন ভাবা ঠিক নয়। তবে সেটা চাইতে হবে সংবেদনশীলভাবে। হঠাৎ করে দূরত্ব তৈরি না করে, নরম ভাবে বিষয়টি বোঝানোই সঠিক। যেমন, “আমি কিছু সময় বই পড়ে থাকতে চাই” বা “আজ একটু একা থাকতে চাই” বললে তা সহজে গ্রহণযোগ্য হয়।
নতুন করে ভাবতে শেখায় স্পেস
সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু নির্দিষ্ট পরিসর পেলে, মানুষ নিজে থেকে চিন্তা করতে পারে। নিজের ভুল বুঝতে পারে, সঙ্গীর জায়গা থেকে ভাবতে পারে। এই নিজস্ব সময় অনেক ক্ষেত্রে কঠিন সম্পর্কের জট খুলতে সাহায্য করে। একটা সুস্থ সম্পর্কের জন্য ভালোবাসা যেমন দরকার, তেমনই দরকার পরস্পরের পরিসরকে সম্মান করা। যেখান থেকে ফিরে এসে আবার একে অপরের সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হওয়া যায়—আরও গভীরভাবে, আরও ভালোভাবে।