Anti-Terror Operation : ইরাকের উত্তরে অবস্থিত তাজি সামরিক ঘাঁটি ফের অশান্তির মুখে। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে এই ঘাঁটিতে একটি লক্ষ্যভেদী ড্রোন হামলা চালানো হয়, যাতে মার্কিন সমর্থিত সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনীর একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। যদিও ঠিক কতজন আহত হয়েছেন এবং তাঁদের শারীরিক অবস্থা কতটা গুরুতর, তা নিয়ে সরকারি ভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
কেন গুরুত্বপূর্ণ তাজি ঘাঁটি?
বাগদাদ শহরের অদূরে অবস্থিত তাজি ঘাঁটিটি বহু বছর ধরেই মার্কিন সেনা ও তাদের সহযোগী বাহিনীর স্ট্র্যাটেজিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এখানে দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসবিরোধী প্রশিক্ষণ ও নজরদারির কাজ চলে। ফলে, এমন একটি ঘাঁটিতে সফলভাবে ড্রোন হামলা হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর। এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। তবে ইরাকি গোয়েন্দা সংস্থা এবং মার্কিন সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলার ধরন এবং কার্যপ্রণালি দেখে অনুমান করা যাচ্ছে, এটি সুপরিকল্পিত হামলা এবং এর পিছনে অভিজ্ঞ জঙ্গিদেরই হাত রয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থা সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, হামলার প্রকৃত উদ্দেশ্য, সময়, ব্যবহৃত ড্রোনের ধরন ইত্যাদি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্ত ও প্রস্তুতি জোরদার
ঘটনার পরপরই মার্কিন ও ইরাকি বাহিনীর তরফে যৌথ তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ড্রোনটি কোথা থেকে চালানো হয়েছিল, কীভাবে ঘাঁটির সুরক্ষা ভেদ করে তা আঘাত হানতে পারল—এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত নিরাপত্তা আধিকারিকরা। একই সঙ্গে ঘাঁটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন হামলা রুখতে প্রযুক্তিগত আপগ্রেডের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ঘটনার জেরে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ইরাকের অভ্যন্তরে মার্কিন ঘাঁটিতে লাগাতার হামলার ঘটনায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাগদাদের সম্পর্ক কতটা প্রভাবিত হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এই ড্রোন হামলা ইরাকে ক্রমবর্ধমান সুরক্ষা হানির ইঙ্গিত দিচ্ছে। মার্কিন সমর্থিত বাহিনীর ওপর এভাবে আঘাত হানার ঘটনাগুলি শুধু রাজনৈতিক নয়, সামরিক দিক থেকেও বিপজ্জনক ইঙ্গিত বহন করে।
Iraq: Drone attack targets Taji military base
Read @ANI Story | https://t.co/UmGSSD8tzk#Iraq #Tajimilitarybase pic.twitter.com/oEbwPmcch1
— ANI Digital (@ani_digital) June 24, 2025