NAVYA Scheme : দক্ষতা ও স্বনির্ভরতার নতুন দিগন্তে পা রাখল ভারত। ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোরীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে চালু হল কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন প্রকল্প ‘নব্যা (NAVYA)’। ২৪ জুন থেকে দেশের ১৯টি রাজ্যের ২৭টি জেলায় শুরু হল এই প্রকল্পের পাইলট পর্ব।
কী এই ‘নব্যা’?
‘NAVYA’ শব্দটির পুরো অর্থ—Nurturing Aspirations through Vocational Training for Young Adolescent Girls। মূলত, ১০ম শ্রেণি পাশ করা কিশোরীদের পেশাগত দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস ও উদ্যোক্তা মনোভাব গড়ে তুলতেই এই বিশেষ কর্মসূচির সূচনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্প যৌথভাবে পরিচালিত হবে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোগ মন্ত্রক-এর মাধ্যমে। পাইলট প্রোগ্রামে উত্তর-পূর্ব ভারত ও অ্যাসপিরেশনাল জেলাগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, যেখানে শিক্ষা ও আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে রয়েছে।
কোন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে?
কিশোরীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বিদ্যমান দুটি দক্ষতা প্রকল্পের মাধ্যমে—PMKVY (Pradhan Mantri Kaushal Vikas Yojana) এবং PM Vishwakarma। এই প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকবে নতুন ও কম পরিচিত কর্মক্ষেত্র যেমন—ডিজিটাল মিডিয়া, হ্যান্ডিক্র্যাফট, স্কিন কেয়ার, সেলাই-ফিনিশিং, স্থানীয় শিল্প ভিত্তিক কাজ, এমনকি প্রযুক্তি নির্ভর হ্যান্ডস-অন স্কিলস।
কেন এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ?
এই বয়সেই বহু কিশোরী নানা কারণে স্কুলছুট হয়ে পড়ে। কোনও আত্মবিশ্বাস থাকে না, না থাকে উপার্জনের পথ। সেই পরিস্থিতি বদলাতেই এই প্রকল্পের সূচনা। লক্ষ্য, কিশোরীদের এমনভাবে প্রশিক্ষিত করা যাতে তারা ভবিষ্যতে কোনও চাকরির জন্য প্রস্তুত হতে পারে বা নিজস্ব উদ্যোগ শুরু করতে পারে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা
প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রা জেলা থেকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরি ও সবিত্রী ঠাকুর। তাঁদের মতে, এই প্রকল্প কিশোরীদের জীবনে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে এবং সমাজে তাঁদের ভূমিকা আরও দৃঢ় হবে।
পরবর্তী ধাপ কী?
পাইলট পর্যায়ের সাফল্যের ভিত্তিতে প্রকল্পটি আগামী দিনে দেশের আরও জেলায় সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রশিক্ষণের মান, প্রাপ্ত ফিডব্যাক এবং কিশোরীদের উপার্জন ক্ষমতা—সব দিক বিবেচনায় আনা হবে ভবিষ্যতের রোডম্যাপ তৈরির সময়। ‘নব্যা’ প্রকল্প শুধু একটি সরকারি উদ্যোগ নয়, এটি ভবিষ্যতের ভারত গড়ার পথে এক শক্তিশালী পদক্ষেপ। আত্মনির্ভরতা আর ক্ষমতায়নের মিলিত প্রয়াসে কিশোরীরা এবার নিজেদের পথ নিজেরাই গড়বে—এই আশাই রাখছে কেন্দ্র।