Indian Politics : আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৫০-এর গণ্ডি পেরোবে না—এই ভবিষ্যদ্বাণী করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন রাজনৈতিক নেতার মুখে এ হেন আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ যেমন বিরোধী শিবিরে চাপ তৈরি করছে, তেমনি ঘাসফুল শিবিরে জোগাচ্ছে বাড়তি অক্সিজেন।
‘লিখে রাখুন’—হুঁশিয়ারি ভরা বার্তা
সম্প্রতি একটি কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমার কথা লিখে রাখুন, বিধানসভায় বিজেপির আসন ৫০-এর নীচে নেমে আসবে।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, বিজেপি বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি। সেই কারণেই রাজ্যজুড়ে মানুষ আবার ঘাসফুলের দিকেই ফিরে যাচ্ছেন।
২০২১ বনাম ২০২৬: ফের কি বদলাবে চিত্র?
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৭৭টি আসন জিতেছিল। যদিও পরবর্তীতে কিছু বিধায়ক তৃণমূলে ফিরে যান বা দলবদল করেন। এখনো পর্যন্ত বিধানসভায় বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা আগের তুলনায় দুর্বল—এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। অভিষেকের এই পূর্বাভাসে কার্যত স্পষ্ট, আগামী ভোটে তৃণমূলের লক্ষ্য শুধু তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা নয়, বিজেপিকে একেবারে কোণঠাসা করা। অনেকে মনে করছেন, অভিষেকের এই মন্তব্য শুধু রাজনৈতিক হুঁশিয়ারি নয়, বরং বিজেপি কর্মীদের মনোবল ভাঙার কৌশল। অন্যদিকে তৃণমূলের অনুগামীদের মধ্যে এই বক্তব্য ছড়িয়ে দিয়ে জোরদার সংগঠনের বার্তা দিতেই এই ধরণের ভাষা প্রয়োগ।
বিজেপির পাল্টা কী?
তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের জবাবে এখনও বিজেপির পক্ষ থেকে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া না মিললেও, অন্দরমহলে আলোচনার ঝড় শুরু হয়ে গিয়েছে। দলীয় স্তরে কীভাবে এই বক্তব্যের মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে চলছে কৌশলগত আলোচনা। আগামী দুই বছর রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ ক্রমশ বাড়বে, তাতে সন্দেহ নেই। অভিষেকের এই আগাম মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই রাজনৈতিক সমীকরণ ও প্রচারের ধরন অনেকটাই নির্ধারিত হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।