Puri Mahaprasad Distribution : রথযাত্রাকে ঘিরে এবার রাজনীতির রথে চড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক বড়সড় ঘোষণা করে তিনি জানিয়েছেন, ২৭ জুন রথযাত্রা থেকে শুরু করে পরবর্তী পাঁচ দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিতরণ করা হবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ। বিতরণের প্রক্রিয়া তমলুকের গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দির থেকে সংগঠিত হবে।
শুভেন্দুর কটাক্ষ
এই প্রসঙ্গে তিনি তৃণমূল সরকারের দিঘার জগন্নাথধাম মন্দিরে প্রসাদ বিতরণের উদ্যোগকে সরাসরি আক্রমণ করেন। তাঁর অভিযোগ, “ওটা গজা-প্যারা কিংবা আবদুল চাচার হালাল মিষ্টি নয়, এটাই প্রকৃত পুরীর মহাপ্রসাদ।” এই বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। শুভেন্দুর এই মন্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, রাজ্যে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্যেও রাজনৈতিক বার্তা ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রবণতা প্রবল হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, পুরীর শ্রীজগন্নাথ মন্দিরের আসল প্রসাদই জনসাধারণের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় আবেগের মর্যাদা রক্ষার কথাই তুলে ধরতে চেয়েছেন তিনি।
পাল্টা তৃণমূল
তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য শুভেন্দুর এই প্রচেষ্টাকে ‘ধর্মীয় অনুভূতিকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা’ বলে কটাক্ষ করেছে। তাঁদের দাবি, ভক্তি ও ধর্মকে ব্যবহার করে নির্বাচনী মেরুকরণ ঘটানোর জন্যই বিজেপি এমন কৌশল নিচ্ছে। যদিও তৃণমূল নেতাদের তরফে এখনও সরাসরি কোনো প্রতিবাদী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি।
রাজ্যের ধর্মীয় আবহে নতুন বিতর্ক
রথযাত্রার মতো শুভ ও সামাজিক উৎসবের প্রাক্কালে এভাবে মহাপ্রসাদ বিতরণকে কেন্দ্র করে রাজনীতির উত্তাপ বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। একদিকে বিজেপি তাদের ধর্মীয় সংযোগ জোরদার করতে চাইছে, অন্যদিকে তৃণমূল এই উদ্যোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই দেখছে। তবে সাধারণ মানুষ কীভাবে এই বিতরণ ও বিতর্ককে গ্রহণ করবে, সেটাই এখন দেখার।