TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

Rath Mela Kolkata : কলকাতার কোথায় কোথায় বসছে রথের মেলা? দেখে নিন তালিকা

রথযাত্রা উপলক্ষে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বসছে জমজমাট মেলা। কসবা, রুবি, মুকুন্দপুর থেকে ব্রিগেড প্যারেড পর্যন্ত কোথায় কতদিন চলবে এই রঙিন উৎসব, জেনে নিন বিস্তারিত।

Debapriya Nandi Sarkar

Rath Mela Kolkata : রথযাত্রা মানেই শুধু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়, সঙ্গে থাকে লোকসংস্কৃতি, ছোটবেলার আনন্দ, আর মেলামেশার আবহ। এই আবহেই প্রতিবছর কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বসে রথের মেলা—যা রথের দড়ি টানার চেয়েও অনেকের কাছে বেশি আকর্ষণীয়। শহরের একাধিক প্রান্তে আষাঢ় মাসের রথযাত্রা উপলক্ষে দীর্ঘ সময় ধরে চলে এই মেলা। ধর্মীয় উৎসবের আবরণে গা ঢাকা দেয় বর্ণময় জীবনের অন্য এক দিক। একদিকে যেমন দর্শনার্থীরা অংশ নেন রথটানায়, তেমনই মেলার দোকানপাটে জমে ওঠে কেনাকাটা, খাওয়াদাওয়া ও বিনোদন।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

শহরের কোন কোন জায়গায় বসে রথের মেলা?

প্রতিবছর কলকাতার দক্ষিণ থেকে উত্তর—প্রায় প্রতিটি বড় পাড়ায় কোনও না কোনও রথের আয়োজন দেখা যায়। তার সঙ্গে মেলা তো থাকেই।

  • কসবা রথতলা মিনিবাস স্ট্যান্ডের কাছে মেলা চলে প্রায় ১৫ দিন ধরে, যেখানে খাবার, খেলনা, গাছপালা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায়।

  • মুকুন্দপুর ও রুবি মোড়েও বসে একইরকমের জমজমাট মেলা, যা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলে।

  • বেলঘরিয়া, নাগেরবাজার, ঠাকুরপুকুর, ধাপা মাঠপুকুর, টালিগঞ্জ ইত্যাদি এলাকাগুলিতেও এই সময় মেলার আয়োজন করা হয়। কোথাও ১৫ দিন, কোথাও মাসখানেক পর্যন্তও মেলা চালু থাকে।

আইএসকন-এর রথ: ধর্মীয় ভক্তি ও আন্তর্জাতিক পরিসর

কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় রথ উৎসবের মধ্যে ISKCON-এর রথযাত্রা অন্যতম। প্রতিবছর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বসে বিশাল মেলা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন। এখানে একদিকে যেমন থাকছে ভক্তিগীতি, ধর্মীয় বক্তৃতা, তেমনই অন্যদিকে বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে থাকে ফুড স্টল, গাছের চারা, রিলিজিয়াস গিফটস ও অন্যান্য সামগ্রী

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

মেলা মানেই শহরবাসীর মিলনমেলা

এই মেলাগুলি শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুষঙ্গ নয়, বরং একটা বড় সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিসরও তৈরি করে। স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হকারদের রোজগার হয়, ছোট ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে ওঠে। মেলায় দেখা মেলে স্থানীয় মৃৎশিল্প, হস্তশিল্প, আঞ্চলিক খাদ্যদ্রব্য ও ঐতিহ্যবাহী সামগ্রীর। ছোটদের কাছে দোলনা, নাগরদোলা ও খেলনার দোকানই আনন্দের মূল কেন্দ্র। কেউ আধ্যাত্মিক শান্তি, কেউবা স্মৃতির পুনর্জাগরণ, আবার কেউ সামাজিক বন্ধন গড়ে তোলার সুযোগ হিসেবে দেখেন মেলাকে।