দিল্লির অশোক বিহার এলাকায় ফের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ধরল পুলিশ। শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ, যাদের মধ্যে পাঁচজন রূপান্তরকামী। ভারতীয় মাটিতে বৈধ নথিপত্র ছাড়াই বসবাস করার অভিযোগে তাদের পাকড়াও করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সাতটি স্মার্টফোন, যাতে ইনস্টল করা ছিল নিষিদ্ধ IMO অ্যাপ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশে থাকা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করত তারা। তদন্তকারীদের দাবি, এই ফোন ব্যবহার করে সীমান্ত পেরিয়ে আসা অন্যান্য সদস্যদের তথ্য আদানপ্রদানও হত।
পাঁচদিন আগেই ধরা পড়েছিল আরও চারজন
এই ঘটনার মাত্র পাঁচদিন আগেই দিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিম জেলা থেকে চারজন অবৈধ বাংলাদেশি ধরা পড়েছিল। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তারা বছরের পর বছর রাজধানীতে হোটেলে বসবাস করছিল বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়। ধৃতদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে অনেকেই ভুয়ো আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং জাল পাসপোর্ট বানিয়ে দিল্লিতে বাস করছিল। পুলিশ বলছে, কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তায় এই নথি বানিয়ে তারা সরকারি সুযোগ সুবিধাও ভোগ করেছে।
এক মাস আগেই গ্রেফতার হয়েছিল ৯২ জন!
এই প্রথম নয়। মাসখানেক আগেই দিল্লি পুলিশের বড়সড় অভিযানে ধরা পড়েছিল অবৈধভাবে বসবাসকারী ৯২ জন বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের অনেকের কাছ থেকে বাংলাদেশি পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্টও পাওয়া গিয়েছিল, যদিও ভারতে থাকার কোনও বৈধ নথি ছিল না।
রূপান্তরকামীদের জড়ানোয় বিতর্কের আবহ
ধৃত ১৮ জনের মধ্যে ৫ জন রূপান্তরকামী হওয়ায় সমাজের একাংশে এই ঘটনা ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কিছু মানবাধিকার সংগঠন বলছে, অনুপ্রবেশের বিষয়টি আলাদা হলেও, লিঙ্গ পরিচয়ের ভিত্তিতে আলাদা নজরে দেখা উচিত নয়। তবে প্রশাসনের মতে, এরা অপরাধী, লিঙ্গ নয় বরং অনুপ্রবেশই মূল বিষয়।
নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, কেন্দ্র চাইছে কঠোর ব্যবস্থা
একদিকে সীমান্ত নিরাপত্তা, অন্যদিকে রাজধানীর অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ—এই ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে নজরদারি আরও কড়া করা হচ্ছে এবং রাজ্য পুলিশকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে বলা হয়েছে।