TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের রাগে চলন্ত মেট্রোতে আগুন ধরিয়ে দিল এক বৃদ্ধ! দেখুন ভিডিও

দক্ষিণ কোরিয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের হতাশা থেকে চলন্ত মেট্রোতে আগুন ধরালেন এক বৃদ্ধ। ভয়াবহ সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল। ৬ জন গুরুতর আহত, ক্ষতি কোটি টাকার।

Debapriya Nandi Sarkar

বিচ্ছেদের যন্ত্রণা মানুষকে কতটা ভয়ানক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে পারে, তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে ঘটে যাওয়া এই মেট্রো অগ্নিকাণ্ড। স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ বিবাদের পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এক ৬৭ বছরের বৃদ্ধ—ওন—চলন্ত মেট্রো রেলে আগুন লাগিয়ে দিলেন যাত্রীতে ঠাসা একটি কামরায়।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

ভাইরাল সেই ভয়াবহ মুহূর্ত, সিসিটিভি ফুটেজে ধরা আতঙ্কের ছবি

ঘটনাটি ঘটে ৩১ মে, সিউলের এক ব্যস্ততম মেট্রো লাইনে। মেট্রোর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চলন্ত ট্রেনে বসে থাকা অবস্থায় ওন হঠাৎ করেই নিজের ব্যাগ থেকে একটি বোতল বের করেন। তাতে ছিল পেট্রোল জাতীয় দাহ্য তরল পদার্থ। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি সেই তরল ছড়িয়ে দেন আশপাশের যাত্রীদের ওপর ও মেঝেতে। যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি শুরু করলে, ওই বৃদ্ধ আগুন জ্বালিয়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে দাউ দাউ করে আগুন। মেট্রোর কামরা ভরে ওঠে ধোঁয়া ও আতঙ্কে। একাধিক যাত্রী আহত হন, অনেকে শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

১৬০ জন যাত্রীর জীবন হুমকির মুখে, কোটি টাকার ক্ষতি

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় মেট্রোর ওই কামরায় ছিলেন প্রায় ১৬০ জন যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ৬ জন গুরুতরভাবে দগ্ধ হন, আরও ২৩ জন ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, ওন “গ্যাসোলিন ছড়িয়ে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়েছিলেন।” তিনি এটিকে একপ্রকার “সন্ত্রাসবাদ” বলে উল্লেখ করেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, একটি সম্পূর্ণ মেট্রো রেক আগুনে পুড়ে যায়। আরও দুটি রেক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ধোঁয়ার কারণে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ওন (প্রায় ২,২০,০০০ মার্কিন ডলার)।

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

আইন ভাঙার অভিযোগে গ্রেফতার, চলছে তদন্ত

ওন-কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে একাধিক ফৌজদারি অভিযোগ—চেষ্টা করে খুন, রেল নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন, এবং চলন্ত ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মতো গুরুতর ধারা। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। তবে এই ঘটনার ভয়াবহতা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। আদালতের তরফেও তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

এক ব্যক্তিগত ক্ষোভ, এক ব্যক্তির মানসিক ভাঙন—তা কীভাবে শতাধিক নিরপরাধ যাত্রীর প্রাণহানির কারণ হতে পারত, তা এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল। সামাজিক অবসাদ কেবল ব্যক্তি নয়, গোটা সমাজকেই বিপদে ফেলতে পারে—এই বার্তা রেখে গেল সিউলের মেট্রো আগুন কান্ড।