সপ্তাহের শুরুতেই আবারও চোখ রাঙাচ্ছে আকাশ। আজ সোমবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় আকাশ ঢেকেছে ঘন কালো মেঘে। সূর্য মাঝে মধ্যে উঁকি দিলেও, সেটা খুব বেশি ক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না। হালকা গরমের মধ্যে মেঘলা আবহ—এর মধ্যেই নতুন করে আশঙ্কা তৈরি করেছে ঘূর্ণাবর্ত আর নিম্নচাপ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উত্তরভাগে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। একই সঙ্গে রাজস্থান, উত্তর বাংলাদেশ, এমনকি উত্তরপ্রদেশেও তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। তার উপর বঙ্গোপসাগর থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা ছুটে এসেছে বাংলার দিকে। ফলে আবহাওয়া অস্থির হয়ে উঠেছে রাজ্যজুড়ে।
দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি:
আজকের দিনে দক্ষিণবঙ্গের চারটি জেলায়—বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ—জারি হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। শুধু এই চারটি জেলাই নয়, দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে ঝোড়ো হাওয়া কিছুটা কম, ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে বইতে পারে।
উত্তরবঙ্গেও একই ছবি:
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর—সব ক’টি জেলাতেই আজ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়াও থাকবে, যা ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে বইতে পারে।
আগামীকালও কী বৃষ্টির সম্ভাবনা?
আলিপুর দফতর জানাচ্ছে, আগামীকাল মঙ্গলবারও একই ধরনের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া, হুগলি এবং মুর্শিদাবাদে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়ার গতিও থাকবে একই রকম। উত্তরবঙ্গেও বজায় থাকবে বৃষ্টির পূর্বাভাস, তবে হাওয়ার গতি কিছুটা কম হতে পারে—ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি।
সতর্কবার্তা:
এই কয়েকদিন বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে খোলা জায়গায় না যাওয়া, বাজ পড়ার সময় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা, এবং খুব দরকার না হলে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। কৃষকদের উদ্দেশে বার্তা, এই সময়ে মাঠে কাজ করার সময় আরও সতর্ক থাকতে হবে।