জম্মু ও কাশ্মীরের পূঞ্চ ও রাজৌরি সেক্টরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। সীমান্তে চলছে টানা গোলাবর্ষণ। ভারত ও পাকিস্তান—দু’পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালাচ্ছে বলে সেনা সূত্রে খবর। পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজনাকর হয়ে উঠেছে যে, এখনই যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে।
ঘরের ভিতরেই থাকার নির্দেশ স্থানীয়দের
সীমান্তে গোলাগুলির শব্দে কেঁপে উঠছে গ্রামাঞ্চল। পূঞ্চ জেলার বাসিন্দাদের প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—ঘরের বাইরে একেবারেই না বেরোতে। গোলাবর্ষণ চলাকালীন বাইরে বেরোলেই প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করছেন সেনা কর্তারা।
অতিমাত্রায় সতর্ক প্রশাসন
সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে পরিস্থিতির নজরদারিতে রয়েছে প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী। যেকোনও পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রত্যেকটি গ্রামে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মানুষের মনে চরম আতঙ্ক
ভারী গোলাবর্ষণের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নৃশংস পহেলগাঁও হামলার ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট জানিয়েছিল যে প্রতিশোধ নেওয়া হবে। ৭ই মে ভোররাত থেকে সীমান্তে শুরু হয় সেই প্রতিশোধের লড়াই। এখনো পর্যন্ত শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ৯০০ পাকিস্তানি জঙ্গি মারা গিয়েছে। পাকিস্তানের ৯ জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।