ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা সামরিক উত্তেজনায় এবার কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ করল চিন। সীমান্তে গোলাগুলি, ড্রোন হানা, যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন—এই সব খবরের মধ্যে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক মহলে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
চিন বলল, “উদ্বিগ্ন আমরা”—দু’দেশকে শান্তির পথে হাঁটার বার্তা
লিন জিয়ান জানান, “ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের প্রতিবেশী, এবং তারা দু’জনেই আমাদেরও প্রতিবেশী। চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। চিন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে। আমরা চাই দুই দেশ আন্তর্জাতিক আইন এবং রাষ্ট্রসংঘের সনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংযম প্রদর্শন করুক, উত্তেজনাপূর্ণ কোনও পদক্ষেপ এড়িয়ে যাক।”
তিনি আরও বলেন, “চিন শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে প্রাধান্য দেয়। ভারত-পাকিস্তান যেন এমন কোনও সিদ্ধান্ত না নেয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।”
চিনের প্রস্তুতি: কূটনীতির মাধ্যমে সমাধানের লক্ষ্যে পদক্ষেপ
চিনের তরফে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে মিলিতভাবে তারা এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি গঠনমূলক ভূমিকা নিতে প্রস্তুত। অর্থাৎ কেবল উদ্বেগ প্রকাশ করেই থেমে থাকছে না বেজিং, বরং প্রয়োজনে আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনেও হাত বাড়াতে চায় তারা।
সীমান্তে যখন গোলাবর্ষণ, পাকিস্তানের ড্রোন কার্যকলাপ ও জঙ্গি অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রবল চাপের মুখে ভারত, তখন চিনের এই শান্তির বার্তা যুদ্ধ পরিস্থিতিকে কোন পথে নিয়ে যায়, সেই দিকেই নজর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। যুদ্ধ নাকি কূটনীতি—পরবর্তী মোড় ঠিক করবে পরবর্তী কয়েক ঘন্টার ঘটনা।