জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ঘিরে ফের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গোয়েন্দা ব্যবস্থার ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে প্রশ্ন তুললেন, কেন এই ঘটনায় মোদী-অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে না, যদি আরজি করের মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাওয়া যায়?
আরজি কর বনাম পহেলগাঁও: তুলনায় কেন্দ্র-রাজ্য প্রসঙ্গ
সম্প্রতি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে। সেই প্রেক্ষিতেই অভিষেক বলেন, “যদি একটি রাজ্যের ঘটনার দায়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়, তাহলে কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি হামলার পরে প্রধানমন্ত্রীর বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায় নেই কেন?” অভিষেকের এই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। অনেকে বলছেন, একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দিতেই এই কৌশল নিয়েছে।
গোয়েন্দা ব্যর্থতার অভিযোগ
পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় অভিষেক সরাসরি বলেন, “এটা গোয়েন্দা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতা। এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে জঙ্গিরা হামলা চালায়?” তাঁর মতে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা রক্ষা করতে না পারলে দায় নিতে হয় নেতৃত্বকেই। জম্মু-কাশ্মীরে এই ঘটনার পরও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রাজনৈতিক পাল্টা চাপ তৈরির কৌশল?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অভিষেক এই তুলনা টেনে কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারকে জবাবদিহির মুখে দাঁড় করাতে চাইছেন। বিরোধীরা যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছে, সেখানেই অভিষেক দেখাতে চাইছেন, কেন্দ্রও সমানভাবে দায় এড়াতে পারে না। তৃণমূল শিবির মনে করছে, রাজ্যের ঘটনার তুলনায় জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন আরও স্পর্শকাতর। সেই প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলের উপর থেকে চাপ সরাতে চাইছেন অভিষেক।
বিজেপির তরফে প্রতিক্রিয়া
এই প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কোনও সরাসরি প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে দলীয় সূত্রের দাবি, তৃণমূল আসল ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতে চাইছে। তবে জম্মু-কাশ্মীরের ঘটনার পরেও রাজনৈতিক স্তরে আলোচনার অভাব নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।