১৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে জাল নথি দেখিয়ে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কনকাস্ট স্টিলের বিরুদ্ধে। এই চাঞ্চল্যকর মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন সংস্থার কর্ণধার সঞ্জয় সুরেকা। এবার সেই একই মামলায় ধরা পড়লেন ইউকো ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুবোধকুমার গোয়েল।
ইডি সূত্রে খবর, শুক্রবার তাঁকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে কলকাতায় আনা হয় এবং শনিবার আদালতে তোলা হয়।
২১ মে পর্যন্ত ইডি হেফাজতে গোয়েল
এদিন আদালতে তোলা হলে বিচারক সুবোধকুমার গোয়েলকে ২১ মে পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তদন্তকারী সংস্থা জানায়, এই বিপুল পরিমাণ প্রতারণার পেছনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাক্তন CMD-এর ভূমিকা ছিল কতটা গভীর, তা জানতেই তাঁকে জেরা করা জরুরি।
কীভাবে গড়ে উঠেছিল এই আর্থিক প্রতারণার জাল?
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, কনকাস্ট স্টিলের পক্ষ থেকে একের পর এক জাল নথি পেশ করে ব্যাঙ্কগুলির থেকে বিশাল অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়েছিল। এই ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকজন ব্যাঙ্ক কর্তার ‘অস্বাভাবিক সহযোগিতা’ ছিল বলে ইডি সন্দেহ করছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সুবোধকুমার গোয়েল।
ইডি-র মতে, এই ধরনের প্রতারণা একা কোনও সংস্থা করতে পারে না। এর পেছনে উচ্চপদস্থ ব্যাঙ্ক কর্তাদের হাত থাকতেই পারে। তাই গোয়েলের গ্রেফতারি তদন্তের গতিপথে বড় মোড় আনতে পারে বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
১২ হাজার কোটি টাকা: দেশের অন্যতম বড় আর্থিক জালিয়াতি!
এই মামলাকে ইতিমধ্যেই দেশের অন্যতম বড় ব্যাঙ্ক প্রতারণার কাণ্ড হিসেবে দেখা হচ্ছে। শুধু পরিমাণের দিক থেকে নয়, জড়িতদের প্রোফাইল, এবং যে পরিমাণ ব্যাঙ্ক এতে জড়িয়ে পড়েছে, তা অভূতপূর্ব।
ইডি জানিয়েছে, এই মামলার তদন্তে আগামী দিনে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে পারে। এমনকি আরও কিছু প্রভাবশালী ব্যাঙ্ক কর্তার নাম উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।