CBSE Class 10th Board Exam 2026 : দেশজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বড় ঘোষণা করল CBSE। ২০২৬ সাল থেকে ১০ম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা হবে বছরে দু’বার। পরীক্ষার এই নতুন কাঠামো আনতে চলেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন, যার মূল লক্ষ্য পড়ুয়াদের মানসিক চাপ কমানো এবং শেখার সুযোগ আরও বিস্তৃত করা। জাতীয় শিক্ষানীতির (NEP ২০২০) সুপারিশ অনুযায়ী এই রদবদল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বোর্ড।
পরীক্ষার সময়সূচি ও কাঠামো
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারি মাসে, যেখানে সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। এটি মূলত মূল বোর্ড পরীক্ষা হিসেবেই গণ্য হবে। এরপর মে মাসে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে, যা ঐচ্ছিক। যারা প্রথম পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল পাননি বা নিজের পারফরম্যান্স আরও ভালো করতে চান, তাঁরা দ্বিতীয় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
বিষয় নির্বাচন ও ফলপ্রকাশ
শিক্ষার্থীরা গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান ও ভাষা—এই চারটি বিষয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি বিষয়ে দ্বিতীয় পরীক্ষার মাধ্যমে নম্বর উন্নয়নের সুযোগ পাবেন। বোর্ড জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার ফল এপ্রিল মাসে এবং মে পরীক্ষার ফল জুন মাসে প্রকাশিত হবে। যার ফল ভালো হবে, সেটিই চূড়ান্ত নম্বর হিসেবে গণ্য হবে। নতুন কাঠামোয় অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন বা Internal Assessment শুধুমাত্র একবারই করা হবে, গোটা শিক্ষাবর্ষে। এই মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করেই বোর্ড মার্কশিটে নম্বর প্রতিফলিত হবে।
কারা পাবে বিশেষ সুবিধা?
এই দুই ধাপে পরীক্ষার সুবিধা ছাড়াও জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়, শীতপ্রধান অঞ্চলের পড়ুয়া, এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (CWSN) শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকছে। তাঁদের পরীক্ষার সময়, মূল্যায়নের পদ্ধতি কিংবা পরিকাঠামোয় বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।
শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের প্রতিক্রিয়া
শিক্ষাবিদদের একাংশ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, “একটা পরীক্ষা খারাপ হলে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়ে যেত। এবার সেই চাপ অনেকটাই কমবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহও বাড়বে।” অন্যদিকে কিছু শিক্ষক-অভিভাবকের মতে, “দুইবার পরীক্ষা মানে ক্লাসরুম ও প্রস্তুতির সময় কমে যেতে পারে। প্রশাসনিক দিকেও জটিলতা বাড়তে পারে।” অনেক পরীক্ষার্থী এই পরিবর্তনে খুশি। তাদের মতে, “সুযোগ থাকলে দ্বিতীয়বার ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে পারফরম্যান্স উন্নত করা সম্ভব।” বিশেষত গ্রামীণ ও দূরবর্তী এলাকার ছাত্রছাত্রীরা এই সুযোগকে আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন।