TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

Father Kills Daughter : পরিক্ষায় নম্বর কম পেয়েছে মেয়ে, মারতে মারতে মেরেই ফেলল শিক্ষক বাবা

পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ায় মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলিতে এক স্কুল শিক্ষক বাবা নিজের ১৬ বছরের কন্যাকে পিটিয়ে হত্যা করেন। অভিযুক্ত গ্রেফতার, এলাকায় শোক ও ক্ষোভের পরিবেশ।

Debapriya Nandi Sarkar

Father Kills Daughter : একজন বাবা, যিনি পেশায় স্কুল শিক্ষক। একজন মেয়ে, যার বয়স মাত্র ১৬। একটি পরীক্ষার ফলাফল—আর তাতেই নিভে গেল এক তরুণ প্রাণ। ঘটনাটি যেন বাস্তব না হয়ে কোনও ভয়ানক গল্পের অংশ। অথচ এটি ঘটেছে আমাদের এই দেশের মাটিতেই, মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলি জেলার নেলকরাঞ্জি গ্রামে।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

নম্বরই ডেকে আনল মৃত্যুকে

ঘটনার দিন ছিল ২৩ জুন ২০২৫। স্কুল থেকে ফিরে পরীক্ষার ফলাফল জানিয়েছিল সাধনা ভোসলে। পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হওয়াতেই চটে যান তার বাবা ধন্দরিরাম ভোসলে, পেশায় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। নিজের মেয়েকে তিনি এমনভাবে মারধর করেন, যা রীতিমতো অকল্পনীয়। বাড়ির রান্নাঘরে ব্যবহৃত আটা পিষে দেওয়ার যন্ত্রের কাঠের হাতল তুলে আঘাত করা হয় তার মাথা ও শরীরে। ভয়ংকর আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে পড়ে সাধনা। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ঘটনার সময় বাড়িতেই উপস্থিত ছিলেন সাধনার মা ও ছোট ভাই। তাঁরা ভয়ে চুপ করে সব দেখলেও পরে থানায় গিয়ে ঘটনার সমস্ত বিবরণ দেন। মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত পিতাকে গ্রেফতার করে।

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

পুলিশ ও প্রতিবেশীদের প্রতিক্রিয়া

স্থানীয় থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ধন্দরিরাম ভোসলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। পেশায় শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও এমন কাণ্ডে সকলেই বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। প্রতিবেশীরা বলছেন, বাড়ির ভিতরে অমন প্রবল রাগ ও নির্যাতন আগে কেউ লক্ষ্য করেনি।
এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল—শিক্ষাগত চাপ ও পিতৃঅধিকারের ভুল ব্যাখ্যা কীভাবে একজন কন্যার জীবন কেড়ে নিতে পারে। শুধুমাত্র নম্বর কম পাওয়ার কারণে এমন চূড়ান্ত সহিংস প্রতিক্রিয়া সমাজের মানসিক স্বাস্থ্য ও শিশু সুরক্ষার বাস্তব অবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়।