যেখানে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার আশঙ্কায় দিশেহারা, একের পর এক দেশের বৃদ্ধির হার পড়তির দিকে, সেই সময় উল্টো পথে হাঁটছে ভারত। জাতিসংঘের নতুন অর্থনৈতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে এক চমকপ্রদ তথ্য—ভারতই হতে চলেছে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এই আর্থিক বছরে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি হতে পারে ৬.৩ শতাংশ। এই হার বিশ্বের যেকোনো বড় অর্থনীতির তুলনায় অনেকটাই বেশি।
এই সাফল্যের পেছনে কী আছে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের এই অগ্রগতির পিছনে রয়েছে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক পরিকল্পনা, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, ও প্রযুক্তিনির্ভর নীতি। ছোট শহর থেকে গ্রাম—সর্বত্র দ্রুত হারে ডিজিটাল পরিবর্তন এসেছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশীয় বাজারের শক্ত ভিত এবং বিদেশি লগ্নির প্রতি আস্থা।
এই মজবুত ভিতই ভারতের অর্থনীতিকে বিশ্ব বাজারে আরও দৃঢ় করেছে। এমনকি বিশ্ব বাজারে চাহিদা কম থাকা সত্ত্বেও ভারতের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও উৎপাদনশীলতা একে টেনে নিয়ে চলেছে।
‘বাড়তা ভারত’ এখন বাস্তব ছবি
সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে একাধিক নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা, রপ্তানি বাড়ানো, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
‘বাড়তা ভারত’ যে শুধু রাজনৈতিক স্লোগান নয়, তা প্রমাণ করছে আন্তর্জাতিক মহলও। জাতিসংঘের মতো সংস্থার এই স্বীকৃতি ভারতের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আগামী দিনের পরিকল্পনা কি?
এই রিপোর্টের পর এখন সবার নজর আগামী বাজেট ও পরবর্তী আর্থিক পরিকল্পনার দিকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি বর্তমান গতি বজায় থাকে, তবে ভারত আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বিশ্বের দ্বিতীয় বা তৃতীয় বৃহত্তম আর্থিক সমৃদ্ধশালী দেশ হয়ে উঠতে পারে।