পাকিস্তানের তরফে সংঘর্ষবিরতির অনুরোধে সাড়া দিল ভারত। তবে একেবারে খোলা মনে নয়—এতে রয়েছে একাধিক কঠিন শর্ত। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য, কূটনীতি বা আর্থিক লেনদেন আপাতত বন্ধই রাখবে কেন্দ্র। ফলে যুদ্ধ থামলেও সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।
সিন্ধু জল চুক্তি ও ভিসা নীতিতে কোনও ছাড় নয়
কূটনৈতিক মহলের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতের এই কঠোর শর্তের অর্থ স্পষ্ট—সিন্ধু জল চুক্তি যেভাবে স্থগিত রাখা হয়েছিল, সেটিই বহাল থাকবে। পহেলগামে হামলার ঘটনার পরেই জলচুক্তি কার্যত বন্ধ করে দেয় ভারত। এখন যুদ্ধবিরতির পরও সেই অবস্থান থেকে সরছে না দিল্লি। পাশাপাশি, পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের অবস্থান বদলায়নি
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সোশ্যাল মিডিয়ায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—“গুলিবর্ষণ ও সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ হলেও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান আগের মতোই দৃঢ়। ভবিষ্যতেও সেই নীতিতেই চলবে ভারত।” অর্থাৎ, পাকিস্তান যেভাবে আশা করছিল, ভারতের মন বদলাবে, বাস্তবে তা হয়নি।
আমেরিকার মধ্যস্থতা ঘিরে ধোঁয়াশা
শনিবার বিকেলে বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি জানান, ভারত ও পাকিস্তান আলোচনা করে এই সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে প্রথমে খবরটি সামনে আসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে। সেখানে তিনি লেখেন, “আমেরিকার মধ্যস্থতায় দুই দেশ সারারাত আলোচনার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।” তবে এই মধ্যস্থতা নিয়ে ভারত বা পাকিস্তানের তরফে কোনও সরকারি বিবৃতি এখনও আসেনি।