পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিতে আন্তর্জাতিক সফরে বেরিয়েছে ভারতের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য ও পহেলগাম জঙ্গি হামলার পটভূমি তুলে ধরতে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে এই প্রতিনিধি দল। জাপানের টোকিও সফর শেষ করে এবার সেই দলের গন্তব্য দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওল। এই দলের অংশ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন—সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত কখনও পিছপা হবে না।
জাপানে জোরালো আক্রমণ পাকিস্তানকে
শনিবার টোকিওতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করেন পহেলগামের জঙ্গি হামলার জন্য। তিনি বলেন, “এই হামলার পর ভারত শুধু প্রতিশোধ নেয়নি, একেবারে শিকড় থেকে ধ্বংস করেছে সেই জঙ্গি কাঠামোকে। কোনও সাধারণ নাগরিকের ক্ষতি না করেই ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে—সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই করতে হয়।”
তাঁর এই বক্তব্যে উঠে আসে ভারতের কঠোর ও মানবিক অবস্থান। তিনি জানান, এই লড়াইয়ের জন্য সব রাজনৈতিক দল একজোট হয়েছে, কারণ দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনও বিভেদ চলে না।
এক্স হ্যান্ডেলে সরাসরি ঘোষণা
দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে লেখেন, “এই এক লক্ষ্যেই আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। গোটা বিশ্বের সামনে আলোকপাত করতে চাই পহেলগামের নৃশংস জঙ্গি হানার পরে ভারতের জোরালো জবাবে। কোনও সাধারণ নাগরিকের ক্ষতি না করে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদের কাঠামোকে একেবারে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে ভারত।”
এই পোস্ট থেকেই স্পষ্ট হয়, এবার ভারত আন্তর্জাতিক মহলের সামনে খোলাখুলি ভাবেই তুলে ধরতে চলেছে পাকিস্তানের জঙ্গি মদতের বিষয়।
প্রবাসীদের সঙ্গেও সংহতির ছবি
জাপানে সফরের শেষ দিনে টোকিওর ভারতীয় দূতাবাসে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নেন সর্বদলীয় প্রতিনিধিরা। সেখানেও উঠে আসে পহেলগামের হামলার প্রসঙ্গ। প্রবাসী ভারতীয়রা জানিয়ে দেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশের পাশে আছে তাঁরাও। অভিষেক জানিয়েছেন, সেদিনের অনুষ্ঠানে দেখা গেছে ভারতীয়দের ঐক্য ও সংহতির এক অনন্য ছবি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামনে একাধিক কর্মসূচি
রবিবার সিওলে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি রয়েছে। সেখানেও তুলে ধরা হবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পটভূমি ও ভারতের প্রতিক্রিয়া। লক্ষ্য একটাই—বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের আসল মুখ তুলে ধরা এবং দেখানো যে ভারত কেবল নিন্দা করে থেমে থাকে না, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাস্তবিক পদক্ষেপও নেয়।