TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

হঠাৎ কানাডায় প্রাণ গেল ভারতীয় ছাত্রীর, কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা

কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালগেরিতে পড়তে গিয়ে হঠাৎই মৃত্যু হল ভারতীয় ছাত্রী তনয়া ত্যাগীর। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত নয়, তদন্তে নেমেছে কানাডা প্রশাসন। কনসুলেট পাশে রয়েছে পরিবারের।

Debapriya Nandi Sarkar

বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়েই পাড়ি দিয়েছিলেন কানাডায়। পরিবারের প্রত্যাশা ছিল, একদিন বড় কিছু করবেন। কিন্তু সব আশা এক ঝটকায় থমকে গেল ১৭ জুনের সকালে। কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালগেরিতে পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রী তনয়া ত্যাগী হঠাৎই প্রয়াত হলেন। বয়স মাত্র কুড়ির কোঠায়। তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে গভীর শোক ছড়িয়েছে ভারতীয় ছাত্রসমাজে।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

হঠাৎই মৃত্যু, নিশ্চিত নয় কারণ

ভারতীয় কনসুলেটের তরফে জানানো হয়েছে, তনয়ার মৃত্যু ১৭ জুন, ২০২৫ তারিখে হয়েছে। মৃত্যু ছিল “অপ্রত্যাশিত”। তবে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কানাডার প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তনয়া মারা গিয়েছেন। যদিও, এই দাবির কোনও সরকারি প্রমাণ মেলেনি। তাই কনসুলেটের তরফেও এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।

শিক্ষাগত পটভূমি ও কানাডায় যাত্রা

তনয়ার বাড়ি ভারতের নর্থ-ইস্ট দিল্লির বিজয় পার্ক এলাকায়। তিনি Jaypee Institute of Information Technology থেকে বিটেক (B.Tech) পাস করেছিলেন। পরে Food Safety and Quality নিয়ে মাস্টার্স করতে ২০২৪ সালে কানাডা যান। উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি পরিবার থেকে দূরে নিজের মতো করে একটি নতুন জীবন গড়ার চেষ্টায় ছিলেন তনয়া। তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যু তাই শুধু এক ব্যক্তির নয়, বহু পড়ুয়ার স্বপ্নভঙ্গ।

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

পরিবার ও কনসুলেটের পাশে কানাডা প্রশাসন

ভ্যাঙ্কুভারস্থ ভারতীয় কনসুলেট টুইট করে জানিয়েছে, “আমরা তনয়ার মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করছি। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়াত ছাত্রীর মরদেহ ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”

ভারতীয় ছাত্র সমাজে শোকের ছায়া

এই ঘটনার পর থেকে কানাডা সহ অন্যান্য দেশগুলিতে থাকা ভারতীয় ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক এবং উদ্বেগ ছড়িয়েছে। আকস্মিক মৃত্যু যে কাউকে ছুঁতে পারে, এই ভাবনা আরও একবার সামনে এনে দিয়েছে এই ঘটনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদেশে থাকা পড়ুয়াদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়েও নিয়মিত নজরদারি প্রয়োজন।

এখনও তদন্তাধীন

কানাডার স্থানীয় প্রশাসন ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শুরু করেছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং ফরেনসিক পরীক্ষা চলছে। কবে রিপোর্ট আসবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ভারতীয় পক্ষ থেকে যতটা দ্রুত সম্ভব সমস্ত সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।