দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক বরাবরই জটিল। কিন্তু তার মধ্যেও একটি বিষয় ছিল যেটা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল—সেটা হল সিন্ধু জল চুক্তি। ১৯৬০ সালে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় গঠিত এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে জল বন্টন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই একটি নির্ভরযোগ্য কাঠামো তৈরি করেছিল।
কেন সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত?
গত ২৩ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পরে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায়। দুই দেশের মধ্যে চলে তুমুল গোলাগুলিরলড়াই। বাদ যায়নি মিসাইল অ্যাটাকও। পাকিস্তানের নয় জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত। এর পরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভারতের পক্ষ থেকে। পাকিস্তানের উড়ানের জন্য বন্ধ করা হয় ভারতের আকাশ সীমা। যদিও যুদ্ধ এখন কিছুটা থিতিয়ে পড়েছে তবে সীমান্ত এখনো উত্তেজনা পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। সীমান্তে বাড়তে থাকা উত্তেজনার আবহে ভারত সিন্ধু জল চুক্তি আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র বলছে, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থেই এই পদক্ষেপ। যদিও সরকার এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তবুও এই খবরে পাকিস্তানের তরফে স্পষ্ট অসন্তোষের ইঙ্গিত মিলেছে।
পাকিস্তানের চিঠি ও ‘একতরফা’ অভিযোগ
বৃহস্পতিবার সকালে জানা যায়, পাকিস্তানের জলের সম্পদ দফতরের সচিব ভারতের জল শক্তি মন্ত্রকের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে স্পষ্ট ভাষায় চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তকে ‘একতরফা’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে এবং ভারতের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে।
আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের ছায়া
এই ঘটনাকে ঘিরে শুধু উপমহাদেশেই নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ, এই চুক্তি শুধু দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত স্থিতাবস্থার প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে।
এখনও পর্যন্ত চুপ ভারত
এত কিছুর পরেও ভারতের তরফে এই নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে কূটনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।