শনিবারের সকালটা শুরু হল চমকে দেওয়া অভিযানে। কলকাতা, দিল্লি ও চণ্ডীগড়ে একযোগে অভিযান চালাল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানাচ্ছে, ভারতীয় ভূখণ্ডে বসে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে নজরে রাখা হয়েছিল বহুদিন ধরেই।
পাকিস্তানের হয়ে কে চালাচ্ছে চরবৃত্তি?
সূত্র অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরেই এনআইএ-র হাতে একাধিক তথ্য আসছিল, যেখানে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার (ISI) সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন কিছু ব্যক্তির গতিবিধি সম্পর্কে উল্লেখ ছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছিল বিস্তারিত অভিযান পরিকল্পনা। কারা ভারতের অভ্যন্তরে থেকেই বিদেশি শত্রুদের হাতে তথ্য তুলে দিচ্ছে—তা জানতেই এই অভিযান।
কলকাতায় কোথায় কোথায় অভিযান?
কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় শনিবার ভোর থেকেই তল্লাশি শুরু করে এনআইএ। শহরের উত্তর ও মধ্য কলকাতায় একাধিক বাড়িতে হানা দেওয়া হয়েছে বলে খবর। গোয়েন্দা আধিকারিকেরা প্রায় প্রত্যেক জায়গায় কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। কোথাও কোথাও কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
দিল্লি ও চণ্ডীগড়েও তল্লাশি
এই একইসঙ্গে অভিযান চলে রাজধানী দিল্লি ও চণ্ডীগড়েও। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, গোটা নেটওয়ার্কটি ছিল আন্তঃরাজ্য এবং সম্ভবত আন্তর্জাতিক সংযোগও ছিল এই চক্রের। কিছু ডিজিটাল প্রমাণ হাতে এসেছে বলেও জানা গিয়েছে, যা থেকে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা।
সন্ত্রাসের ছায়া নাকি তথ্য পাচার?
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অভিযুক্তদের কেউ কেউ সামরিক তথ্য পাচার, আবার কেউ কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। যদিও এনআইএ এখনই এই বিষয়ে সরকারি ভাবে মুখ খোলেনি। তদন্ত চলছে, এবং গোটা ব্যাপারটিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রবল উত্তেজনা।