ভারতের অপারেশন সিঁদুর কার্যত কাঁপিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক কাঠামো। বহুদিন ধরে এই ক্ষতির কথা গোপন রাখলেও এবার খোলাখুলি স্বীকার করলেন পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। সরগোধা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মারিয়ম জানান, সেনাঘাঁটিতে যে ধরনের ধ্বংসাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা ২০২৩ সালের ৯ মের ঘটনার মতোই ভয়ানক।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সঙ্গে তুলনা ইমরান সমর্থকদের হামলার
মারিয়ম বলেন, “যেভাবে ৯ মের ঘটনায় ইমরান খানের সমর্থকরা সেনাঘাঁটি ধ্বংস করেছিল, অপারেশন সিন্দুরেও ঠিক সেই রকম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।” তাঁর এই মন্তব্যে পাকিস্তানি প্রশাসনের মধ্যে একপ্রকার অস্বস্তি ছড়িয়েছে, কারণ এতদিন সরকার এই ধ্বংসের কথা জনসমক্ষে আনতে চাইছিল না।
জলচুক্তি বাতিল, নতুন আতঙ্ক পাকিস্তানে
এদিকে অপারেশন সিঁদুরের পাশাপাশি ভারতের সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে পাকিস্তানে। পিটিআই দলের সেনেটার সইদ আলি জাফর এই ঘটনাকে বলছেন ‘জলবোমা’। তাঁর আশঙ্কা, ভারতের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে পাকিস্তানের একটা বড় অংশ তীব্র জলের সংকটে পড়বে।
“জনসংখ্যার এক-দশমাংশ অনাহারে মরবে” — পাক সেনেটার হুঁশিয়ারি
পাক সেনেটে ভাষণ দিতে গিয়ে জাফর বলেন, “পাকিস্তানে প্রতি দশজনের মধ্যে একজন শুধু সিন্ধুর জলের উপর নির্ভরশীল। এই সঙ্কটের সমাধান না হলে মানুষ অনাহারে মরবে।” তিনি শাহবাজ শরিফ সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, ভারতের ‘জলবোমা’ যত দ্রুত সম্ভব নিষ্ক্রিয় করার ব্যবস্থা করতে।
এই মুহূর্তে পাকিস্তান কার্যত কূটনৈতিক ও নিরাপত্তাগত দিক থেকে গভীর সঙ্কটে। একদিকে সামরিক ঘাঁটির ধ্বংস, অন্যদিকে ভারতের কৌশলগত পদক্ষেপ — সব মিলিয়ে চাপে পড়েছে ইসলামাবাদ।