রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের মঞ্চে এবার সরাসরি মুখোমুখি সংঘর্ষে গেল ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের তরফে পাকিস্তানকে ‘দু-মুখো সাপ’ বলে আখ্যা দিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদতের অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলা হয়।
নিরাপত্তা পরিষদে বিস্ফোরক অভিযোগ ভারতের
শুক্রবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় প্রতিনিধি পার্বথানেনী হরিশ বলেন, পাকিস্তানের সেনা বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে গোলাবর্ষণ চালাচ্ছে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২০ জনেরও বেশি নিরীহ সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি। হরিশ আরও বলেন, “এগুলি কোনও দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত আক্রমণ। ধর্মীয় স্থান, হাসপাতাল—সবকিছুই লক্ষ্যবস্তু।”
২৬/১১ থেকে পহেলগাঁও—সবকিছুর পিছনেই পাকিস্তান?
ভারতের অভিযোগ, বিগত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান জঙ্গিদের সক্রিয়ভাবে প্রশিক্ষণ ও মদত দিয়ে এসেছে। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলা (২৬/১১) থেকে শুরু করে সদ্য এপ্রিল মাসে কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের উপর নৃশংস গণহত্যা—সব ঘটনার মূল সূত্র একটাই, আর তা হল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ।
জঙ্গিদের শেষকৃত্যে পাক আধিকারিকদের উপস্থিতি নিয়ে চাঞ্চল্য
ভারতীয় প্রতিনিধি বলেন, “আমরা সম্প্রতি দেখেছি পাক সরকার, পুলিশ ও সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা খ্যাতনামা জঙ্গিদের শেষকৃত্যে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। এই ছবি গোটা বিশ্ব দেখেছে। যারা সাধারণ নাগরিক ও জঙ্গির মধ্যে পার্থক্য করতে জানে না, তাদের কাছে মানবাধিকার কথাটাই হাস্যকর।”
আন্তর্জাতিক স্তরে কঠোর ব্যবস্থা চায় ভারত
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদকে হুঁশিয়ার করে ভারত জানায়, এখনই পাকিস্তানকে ঠেকাতে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এই জঙ্গিবাদ আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। ভারত আন্তর্জাতিক স্তরে ‘সন্ত্রাসবাদকে সমূলে ধ্বংস’-এর ডাক দিয়েছে।