২৯ মে বাংলায় আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মূলত একাধিক সরকারি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে তিনি এই সফরে আসছেন বলে জানা গেছে। তবে এবারের সফর ঘিরে রয়েছে এক আবেগঘন সম্ভাবনা—পহেলগাঁও হামলায় শহিদদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। সূত্রের খবর, যদিও এই বিষয়ে এখনও সরকারি ঘোষণা হয়নি, তবে প্রশাসন এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সফরের সম্ভাব্য সূচি ঘিরে চলছে নিরাপত্তা পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণ।
পহেলগাঁওয়ের রক্তাক্ত স্মৃতি
২২ এপ্রিল, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ মানুষ। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। সেই ঘটনার রেশ এখনও স্পষ্ট রাজ্যবাসীর মনে। শহিদদের পরিবার এখনও শোকে স্তব্ধ, আর এই প্রেক্ষাপটেই প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি সত্যিই শহিদদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তা নিঃসন্দেহে একটি মানবিক বার্তা দেবে গোটা জাতিকে। একইসঙ্গে, তা হবে শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রকাশ।
প্রশাসনের নজরদারি ও নিরাপত্তা পরিকল্পনা
প্রধানমন্ত্রীর সফর মানেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সফরের সম্ভাব্য জায়গাগুলিতে ইতিমধ্যেই এসপিজি (SPG) এবং রাজ্য প্রশাসনের যৌথ তদারকি শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও তৎপর। বিশেষ করে যদি শহিদ পরিবারদের সঙ্গে সাক্ষাত হয়, তাহলে নিরাপত্তার স্তর আরও একধাপ বাড়ানো হবে বলে সূত্রের খবর। স্থান নির্ধারণ এবং সময়সূচি গোপন রাখা হলেও, প্রস্তুতির মাত্রা থেকেই বিষয়টির গুরুত্ব স্পষ্ট।
রাজনৈতিক আবহে বাড়তি তাৎপর্য
প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নিছক সরকারি কর্মসূচির মধ্যে সীমাবদ্ধ না-ও থাকতে পারে। শহিদ পরিবারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তা রাজনীতির ক্ষেত্রেও বড় বার্তা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমনিতেই বাংলায় রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। এই সফর সেই আবহে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।