পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের জঙ্গি ঘাঁটিতে পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালাল ভারত। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার হেমন্ত মহাজন (অবসরপ্রাপ্ত) জানিয়েছেন, এই হামলা সম্পূর্ণ পরিকল্পনা মাফিক চালানো হয়। নিশানা করা হয়েছিল লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ আর হিজবুল মুজাহিদিনের সন্ত্রাসবাদ প্রশিক্ষণ শিবির।
৯টি পাকিস্তানি ঘাঁটিতে একসাথে আক্রমণ
মোট নয়টি জায়গায় এই আক্রমণ হয়। ব্রিগেডিয়ার মহাজনের কথায়, “আমরা পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে, তার প্রতিশোধ নিয়েছি। সেনাবাহিনীর এই কাজের জন্য ওদের বাহবা প্রাপ্য।” তিনি জানান, হামলায় ব্যবহার হয়েছে বিশ্বমানের মিসাইল, আর প্রতিপক্ষের হাতে পাল্টা কিছু করার মতো সময়ই ছিল না।
সন্ত্রাসবাদকে করা বার্তা
এই হামলার মধ্য দিয়ে ভারত সন্ত্রাসবাদকে কড়া বার্তা দিল বলেই মনে করছে প্রতিরক্ষা মহল। সেনার এই পদক্ষেপ শুধু প্রতিশোধ নয়, আগামী দিনে আর কোনও হামলার আগে দশবার ভাবার ইঙ্গিতও বটে।
পাহেলগাঁও হামলার যোগ্য জবাব
পাহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর যে ভয়াবহ হামলা হয়েছিল, তার রেশ এখনো কাটেনি। গোটা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল সেই ঘটনার পর। এবার ভারত যে জবাব দিয়েছে, তা শুধু প্রতিশোধ নয়—এ এক কড়া বার্তা। সেনার এই স্ট্রাইক প্রমাণ করল, ভারত এখন শুধু প্রতিরক্ষা নয়, প্রয়োজনমতো আক্রমণাত্মক কৌশলও নিতে প্রস্তুত।
এই মুহূর্তে সেনার এই সাহসী পদক্ষেপে দেশের মানুষ যেমন গর্বিত, তেমনই আন্তর্জাতিক মহলেও বিষয়টি নজর কাড়ছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধুই সামরিক কৌশল নয়, কূটনৈতিকভাবেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।