2026 Bengal Elections : বাংলার রাজনীতির ময়দানে আবার ফিরল সেই পুরনো প্রশ্ন—সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কি এবার যোগ দিচ্ছেন রাজনীতিতে? ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন নতুন করে দলবদলের জল্পনা উসকে উঠেছে, তখনই সামনে এল ‘মহারাজ’-এর স্পষ্ট বার্তা—‘‘আমার কোনও ইচ্ছে নেই।’’
পুরনো প্রশ্ন, নতুন সময়
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময় সৌরভকে মুখ করে বিজেপি নির্বাচনে লড়বে বলে জোর গুঞ্জন ওঠে। একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, ব্রিগেডে মোদীর জনসভায় হাজির হয়ে তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে পারেন। যদিও সে সব ঘটেনি। এবার আবার ভোট এগিয়ে আসতেই ফের সেই একই প্রশ্ন। সৌরভ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনও ইচ্ছে তাঁর নেই। এমনকী, যদি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবও দেওয়া হয়, তবুও তিনি রাজনীতিতে পা রাখবেন না। তাঁর কথায়, “আমার কোনও ইচ্ছে নেই”—এই এক বাক্যেই যেন শেষ হয়ে গেল সমস্ত জল্পনা।
বিজেপি কি প্রস্তাব দিয়েছিল?
সৌরভের ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, ২০২১ সালের আগে তাঁকে বিজেপি তরফে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মুখ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে সৌরভ তাতে সম্মত হননি। তিনি জানিয়ে দেন, তিনি নির্বাচনে লড়বেন না। বরং প্রচারে অংশ নিতে পারেন, যদি রাজ্যসভার আসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এই প্রস্তাব কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মানেনি। অমিত শাহের সঙ্গে সৌরভের একাধিক বৈঠক হলেও প্রকাশ্যে কোনও কিছু বলা হয়নি। পক্ষান্তরে, সৌরভ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কও বরাবর ‘মসৃণ’ বলেই পরিচিত। বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে সৌরভকে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে। ব্যবসায়িক সম্মেলনেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকেন নিয়মিত।
ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের পুরনো মন্তব্য
তাঁর স্ত্রী ডোনা একবার বলেছিলেন—“যে পিচেই ও খেলুক, সেরা হয়। যদি রাজনীতিতে যায়, তাহলে শীর্ষে পৌঁছবে।” এই মন্তব্য ঘিরেও একসময় আলোচনার ঝড় উঠেছিল। কিন্তু সৌরভ নিজে কখনও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।
এই মুহূর্তে সৌরভ ক্রীড়াঙ্গন ও কর্পোরেট দুনিয়ায় বেশ সক্রিয়। নিজের ব্র্যান্ড, বিজ্ঞাপন এবং খেলাধুলা সংক্রান্ত নানা উদ্যোগে ব্যস্ত থাকতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি। রাজনীতির মাঠে না নামার সিদ্ধান্ত হয়তো তাঁর সেই দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন। রাজনৈতিক দলগুলির কৌশলে হয়তো ভবিষ্যতে বদল আসবে, তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবস্থান আপাতত পরিষ্কার। মুখ্যমন্ত্রিত্বের টোপ ছুঁড়েও তাঁকে রাজনীতিতে আনা যাচ্ছে না।