উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের এক শান্ত শহর তিলহর। কিন্তু রবিবার সকালে সেই শহরের শান্ত ছন্দটা ভেঙে দেয় এক লাল সুটকেস। বাড়ির ভিতর থেকেই উদ্ধার হয় এক মহিলার মৃতদেহ, ঠান্ডা নিথর হয়ে পড়ে ছিল বদ্ধ সুটকেসের ভেতর। আর সেই ঘরেই ঘুমোচ্ছিল তিনটি শিশু, সঙ্গে বৃদ্ধ ঠাকুমা। পুলিশে খবর দেন অশোক কুমার নামে এক ব্যক্তি, পেশায় ব্যাঙ্কের রিকভারি এজেন্ট। তিনিই মৃতার স্বামী।
অশোকের দাবি, ‘দরজা ভেঙে ঢুকতেই স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ’
অশোক কুমার জানিয়েছেন, শনিবার রাতে তিনি এক বিয়ের নিমন্ত্রণ থেকে ফিরছিলেন। কিন্তু বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় বাধ্য হন দরজার ল্যাচ ভেঙে ঢুকতে। ঘরে ঢুকেই নাকি স্ত্রীর নিথর দেহ সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলতে দেখেন।
ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে দেহটি নামিয়ে একটি লাল সুটকেসে ভরে ফেলেন তিনি। তখন তার বৃদ্ধা মা ঘুমোচ্ছিলেন অন্য ঘরে, তিন শিশুর সঙ্গে।
রাতভর দেহ ঘরে, সকালে পুলিশের খবর
অশোক তাঁর ভাই অনিলকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। কিন্তু কোনও সিদ্ধান্তে না পৌঁছে দেহ-সহ সুটকেস রাতভর বাড়িতেই রেখে দেন। পরদিন সকালে অনিল পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে, তদন্তে নামে।
আত্মহত্যা নাকি খুন? ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য
অশোকের দাবি, তাঁর স্ত্রী সবিতা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। আত্মহত্যাই করেছেন তিনি। কিন্তু এই দাবিকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সুপার রাজেশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, আত্মহত্যার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তবে খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
ফরেন্সিক দল ঘটনার স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। আপাতত অশোক পুলিশের হেফাজতেই রয়েছেন।