ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে তুরস্কের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তুলল আরএসএস ঘনিষ্ঠ ‘স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ’। তাদের দাবি, পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে সামরিক ড্রোন ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে তুরস্ক। শুধু তাই নয়, চার দিন ধরে চলা সংঘাতে ভারতের প্রায় তিন ডজন সামরিক ঘাঁটির উপর হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনগুলোর অধিকাংশই ছিল তুরস্ক-নির্মিত।
তুরস্কের বিরুদ্ধে এবার কঠোর অবস্থান
এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ জারি, আমদানি বন্ধ এবং ভারত থেকে তুরস্কগামী বিমান পরিষেবা স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়েছে মঞ্চটি। শুধু সরকারি সিদ্ধান্ত নয়, তারা দেশের সাধারণ মানুষদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে—তুরস্কের পণ্য বয়কট করুন এবং সেখানে বেড়াতে না যান।
তথ্য বলছে, প্রতি বছর দু’লক্ষ ভারতীয় যান তুরস্কে ঘুরতে
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত তিন বছরে গড়ে প্রতি বছর প্রায় দু’লক্ষ ভারতীয় নাগরিক তুরস্ক ভ্রমণ করেছেন। এই বিপুল সংখ্যক পর্যটককে নিরুৎসাহিত করতে ইতিমধ্যে কিছু ট্রাভেল এজেন্সি তুরস্ক ভ্রমণের বুকিং বাতিল করেছে। পাশাপাশি, রাজস্থানের মার্বেল ব্যবসায়ীরা এবং পুণের আপেল আমদানিকারকেরাও তুরস্ক থেকে পণ্য আনা বন্ধ করে দিয়েছেন।
সিনেমা-শুটিংয়েও নিষেধাজ্ঞার সুর
পশ্চিম ভারতের কিছু চলচ্চিত্র সংগঠন তুরস্কে সিনেমার শুটিং না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। শিল্প, বাণিজ্য, পর্যটন—সব ক্ষেত্রেই তুরস্ককে বয়কটের ডাক মিলছে।
উল্লেখ্য, তুরস্কের বিরুদ্ধে বয়কট ও আর্থিক অবরোধের দাবি তুলে ‘স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ’ যে বার্তা দিতে চেয়েছে, তা একদম স্পষ্ট। ভারতের স্বার্থে যে দেশই বিপজ্জনক ভাবে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ জরুরি। তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও পর্যটন সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও জনগণের মধ্যে প্রতিক্রিয়া বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সরকারের পদক্ষেপ কী হবে, সেদিকে এখন নজর গোটা দেশের। তুরস্ক-পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতা শুধু দুই দেশের মিল নয়, দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার ওপর বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন অনেকে।