“আমাদের লক্ষ্য একটাই—ভারতকে ২০৪৭ সালের আগেই বিকশিত দেশে রূপান্তরিত করা।” ১০ম নীতি আয়োগ গভার্নিং কাউন্সিল বৈঠকে এমনই সাহসী বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু কেন্দ্রীয় নয়, রাজ্য এবং স্থানীয় স্তরের সব প্রশাসনিক ইউনিটকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রাজ্য থেকে গ্রাম—সব স্তরে উন্নয়নের পরিকল্পনা
প্রধানমন্ত্রী জানান, “যদি আমরা প্রতিটি রাজ্য, শহর, নগরপালিকা ও গ্রামকে বিকশিত করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি, তাহলে ‘বিকশিত ভারত’-এর স্বপ্ন ২০৪৭-এর আগেই বাস্তবায়িত হবে।”
তিনি আরও বলেন, শুধু পরিকল্পনা নয়, সেই পরিকল্পনার প্রভাব সাধারণ মানুষের জীবনে কতটা পড়ছে, তা নিশ্চিত করাই সরকারের মূল কাজ। কারণ, মানুষ যখন উন্নয়নের ছোঁয়া অনুভব করেন, তখনই তা একটি বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলনে রূপ নেয়।
১৪০ কোটির স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার সুযোগ
দেশের ১৪০ কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে মোদী বলেন, “এই সময় আমাদের কাছে এক বিশাল সুযোগ। আমরা যদি ‘এক টিম, এক লক্ষ্য’ মানসিকতা নিয়ে এগোই, তাহলে জাতি হিসেবে দ্রুত অগ্রগতি সম্ভব।”এছাড়া তিনি জানান, উন্নয়নের কোনও প্রকল্প কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তব জীবনে কতটা রূপায়িত হচ্ছে, সেই বিষয়েও নজর রাখতে হবে।
কর্মজগতে নারীর সম্মানজনক অংশগ্রহণে জোর
মোদীর বার্তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল নারীদের অংশগ্রহণ। তিনি বলেন, “আমাদের এমন নীতি ও আইন তৈরি করতে হবে, যাতে মহিলারা সম্মানের সঙ্গে কর্মজগতে যুক্ত হতে পারেন। উন্নয়নের যাত্রাপথে নারীসমাজের পূর্ণ অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।”
সারাংশে বার্তা—উন্নয়নকে রূপ দিতে হবে গণআন্দোলনে
সামগ্রিক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, উন্নয়ন যেন কেবল একটি প্রশাসনিক পরিভাষা না হয়ে, এক জনমুখী পরিবর্তনের রূপ নেয়। তাঁর মতে, পরিবর্তনের বাস্তব অনুভবই পারে স্থায়ী রূপান্তর আনতে, এবং সেটিই আগামী ভারতের মূল চাবিকাঠি।
“We should focus on one goal, to make Bharat Viksit by 2047. We should have the aim of making each State Viksit, each city Viksit, each Nagar Palika Viksit and each village Viksit. If we work on these lines, we will not have to wait till 2047 to become Viksit Bharat. We should… pic.twitter.com/fZcdgiVM1s
— ANI (@ANI) May 24, 2025