অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে ভারত মহাসাগরের কাছে এসে পৌঁছেছে এক রহস্যময় চিনা জাহাজ- ডা ইয়াং ই হাও। সূত্রের দাবি, এটি আদতে একটি অত্যাধুনিক গুপ্তচর জাহাজ, যার কাজ হল ভারতীয় নৌবাহিনীর গতিবিধি খতিয়ে দেখা এবং সেই তথ্য পাকিস্তানের হাতে পৌঁছে দেওয়া।
অপারেশন সিঁদুরের পরেই এই পদক্ষেপ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের পর থেকেই চিন এই নতুন চাল চালছে। ভারত যখন একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে, তখন থেকেই চিন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিচ্ছে। এবার সরাসরি ভারতীয় জলসীমার নিকটে এসে উপস্থিত এই গুপ্তচর জাহাজ।
নজরদারি ও তথ্য জোগাড়ই মূল লক্ষ্য
ডা ইয়াং ই হাও-তে অত্যাধুনিক সেন্সর ও হাইড্রোগ্রাফিক সরঞ্জাম রয়েছে। এর সাহায্যে আইএনএস বিক্রান্তসহ ভারতের অন্যান্য যুদ্ধজাহাজগুলোর উপর নজরদারি চালানো সম্ভব। শুধু তাই নয়, ভারতীয় নৌসেনার বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে যে গোপন বার্তা আদানপ্রদান হয়, সেটাও বুঝে নিতে সক্ষম এই জাহাজ।
পাকিস্তানের জন্য তথ্য সংগ্রহের ছক
জানা যাচ্ছে, চিন এই জাহাজের মাধ্যমে এমনসব তথ্য সংগ্রহ করছে, যা পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ সামরিক পরিকল্পনার কাজে লাগতে পারে। পাকিস্তানের জিওয়ানি, গদার, এমনকি জিবৌটি পর্যন্ত চিন সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলতে চাইছে। এই গুপ্তচর জাহাজ থেকে প্রাপ্ত সমুদ্রতলের তথ্য ও সাবমেরিন চলাচলের রুট ভবিষ্যতের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে।
চিনা অর্থনৈতিক প্রকল্পও জড়িত?
চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (CPEC)-এর নিরাপত্তাও এই নজরদারির পেছনে অন্যতম কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। ভারতের তরফে যদি করাচি বন্দর বা গদারে কোনও আঘাত হানে, সেই খবর যেন আগেভাগেই পাকিস্তান পায়—এই লক্ষ্যেই এই জাহাজ মোতায়েন বলে অনুমান।
কড়া নজরে ভারতীয় নৌসেনা
ভারতের নৌবাহিনী ইতিমধ্যেই আরব সাগর ও উত্তর ভারত মহাসাগরে নজরদারি বাড়িয়েছে। এই নতুন চীন-পাকিস্তান মৈত্রী চক্রান্ত ঠেকাতে কী পদক্ষেপ নেয় ভারত, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা কূটনৈতিক মহল।