Egg Oil Benefits : চুল পড়া আর ত্বকের রুক্ষতা আজকাল প্রায় ঘরে ঘরে সমস্যা। দামি প্রসাধনীর ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাকৃতিক বিকল্পগুলি। কিন্তু এবার সেই চেনা ডিমেই মিলছে জাদুকরী সমাধান—Egg Oil বা ডিমের কুসুম থেকে তৈরি একটি বিশেষ তেল, যা শুধু রূপচর্চাই নয়, শরীরের ভেতর দিক থেকেও স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করছে।
কী এই Egg Oil?
ডিমের কুসুম থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি হয় এই বিশেষ তেল। ১০০ লিটার তেল তৈরি করতে প্রয়োজন হয় প্রায় ৫০টি ডিমের কুসুম। এই তেলে থাকে প্রাকৃতিক ফ্যাট, শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন A, B3 ও E, যা শরীর এবং সৌন্দর্য—দুটো ক্ষেত্রেই উপকারী।
চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপহার
এই তেল চুলে ব্যবহারের ফলে চুল পড়া কমে, চুলের গোড়া হয় মজবুত, এবং নিয়মিত ব্যবহারে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। যারা খুশকির সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগছেন, তাঁদের জন্য এটি হতে পারে একটি কার্যকরী বিকল্প। বাজারের রসায়ন মেশানো হেয়ার অয়েলের চেয়ে এই প্রাকৃতিক তেল অনেক বেশি নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন।
ত্বকেও মিলবে জাদু প্রভাব
Egg Oil শুধু চুল নয়, ত্বকেরও যত্ন নিতে সক্ষম। শুষ্ক ত্বকে এটি দ্রুত আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়, ব্রণ কমে, এবং বিভিন্ন রকম দাগ বা কালো ছোপ হালকা হয়ে যায়। এই তেল ত্বকের ভেতর থেকে কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, ফলে বয়সের ছাপ পড়ে ধীরে।
সংক্রমণ প্রতিরোধেও কার্যকর
Egg Oil-এ রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। তাই এটি ত্বকে বা স্ক্যাল্পে সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। যাঁদের সংবেদনশীল ত্বক বা সহজে চুলকানি হয়, তাঁদের জন্যও এই তেল নিরাপদ বিকল্প।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
Egg Oil সরাসরি চুলে বা ত্বকে ব্যবহার করা যায়। স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করে রেখে ৩০–৪০ মিনিট পর শ্যাম্পু করলে ভালো ফল মেলে। ত্বকে ব্যবহার করলে হালকা হাতে মাসাজ করে সারারাত রেখে দেওয়া যেতে পারে। এতে তেল দ্রুত কাজ করতে পারে। বাজারে বর্তমানে এই তেল পাওয়া যাচ্ছে নানা রূপে—ঘরোয়া ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক প্রসাধনী ব্র্যান্ডও নিয়ে এসেছে তাদের Egg Oil সিরিজ।