TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

RG Kar Medical College case : আরজিকর কাণ্ডে ফের আইনি লড়াইয়ে নির্যাতিতার পরিবার, হাই কোর্টে তদন্তের আবেদন

আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে নিগৃহীতা চিকিৎসকের পরিবার আদালতের তত্ত্বাবধানে নতুন করে তদন্তের দাবি জানাল। হাই কোর্টে আবেদন করা হয়েছে আরও দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য।

Debapriya Nandi Sarkar

RG Kar Medical College case : এক বছর পার হয়ে গেলেও থামছে না আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে নিগৃহীতা তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের লড়াই। মূল অভিযুক্তকে দণ্ডিত করার পরেও এবার আরও গভীর, আদালতের তত্ত্বাবধানে নতুন করে তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার মা-বাবা। তাঁদের দাবি, যাঁরা পরোক্ষভাবে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা এখনও আইনের আওতার বাইরে থেকে গিয়েছেন।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

মূল অভিযুক্ত দণ্ডিত, তবু বহু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি

২০২৪ সালের ৯ আগস্ট আরজিকরের সেমিনার কক্ষে ধর্ষণ ও খুনের শিকার হন এক পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি চিকিৎসক। গ্রেফতার হন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। কিন্তু এর পরেও পরিবার সন্তুষ্ট নয়। তাঁদের দাবি, সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি, বহু দায়ী ব্যক্তি থেকে গিয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

অভিযোগের তীর প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও পুলিশ আধিকারিকের দিকেও

পরিবারের দাবি অনুযায়ী, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং সেই সময়কার শোভার বাজার থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে বিলম্ব হয়েছে। ফলত তাঁরা জামিনে মুক্ত। এছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়নি এবং সিসিটিভি ফুটেজ যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়নি বলেও অভিযোগ।

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হাই কোর্টের দ্বারস্থ পরিবার

গত মার্চে, ১৭ ও ১৮ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট পরিবারকে জানিয়ে দেয়, তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টে গিয়ে তদন্ত সংক্রান্ত আবেদন জানাতে পারেন। সেই অনুসারেই এবার তারা হাই কোর্টে মামলা করেছেন। উদ্দেশ্য একটাই—এই ঘটনায় আর কোনও দোষী যেন না রয়ে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় সুপ্রিম কোর্টের টাস্ক ফোর্স

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ২০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট একটি ‘ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স’ গঠন করে, যারা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সুপারিশ পেশ করে। তবে তারা নতুন কোনও কেন্দ্রীয় আইন নয়, বরং হাসপাতালের ভিতরে কার্যকর সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার দিকেই বেশি জোর দিয়েছে।

বিচারপ্রক্রিয়ায় নজর গোটা রাজ্যের

এখন সমস্ত নজর কলকাতা হাই কোর্টের দিকে। তদন্তে আরও কারা যুক্ত ছিলেন, তা বের করতে এবার আদালতের পর্যবেক্ষণে নতুন তদন্ত চায় নির্যাতিতার পরিবার। এই ঘটনায় বহু মানুষের সহানুভূতি তাঁদের সঙ্গে। আগামী শুনানির দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।