Kolkata : দক্ষিণ কলকাতার নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে জনসমাগম নিষিদ্ধ করল কলকাতা পুলিশ। আগামী ৬০ দিন ধরে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। সূত্রের খবর, ভবানীপুরে বিজেপি নেতার পথসভা এবং তার জেরে দুই ব্যক্তির আটক হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই আদেশ কার্যকর থাকবে ২৪ জুন থেকে ২২ আগস্ট, ২০২৫ পর্যন্ত। এই সময়সীমার মধ্যে একাধিক ধারা অনুযায়ী কোনও রকম জমায়েত, মিছিল, সভা, বা পাঁচজনের বেশি মানুষের একত্র হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কোন কোন এলাকা পড়েছে নিষেধাজ্ঞার আওতায়?
এই নিষেধাজ্ঞা মূলত কালিঘাট এবং আলিপুর থানার অন্তর্গত এলাকাগুলিতে জারি হয়েছে। হরিশ মুখার্জি রোড সহ আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও আবাসিক এলাকাগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যে কোনও অস্ত্র বা লাঠি নিয়ে চলাফেরা, সভা বা এমন কোনও কর্মসূচি যা জনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটাতে পারে, সেগুলি নিষিদ্ধ।
ভবানীপুরের ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের পদক্ষেপ
সম্প্রতি ভবানীপুর এলাকায় রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং লন্ডনপ্রবাসী চিকিৎসক রাজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় একটি পথসভা করেন। সেই সভার পরে দু’জনকেই আটক করে পুলিশ। এরপরেই পুলিশ প্রশাসন আশঙ্কা করে যে, এরকম জমায়েত ভবিষ্যতে অশান্তির কারণ হতে পারে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তরফে জানানো হয়েছে, “যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে ধরে নেওয়ার যে, এই ধরনের জনসমাগম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে বিঘ্নিত করতে পারে, এমনকি জনসাধারণের প্রাণ ও সম্পত্তিরও ক্ষতি হতে পারে।”
উদ্দেশ্য কী এই নিষেধাজ্ঞার?
পুলিশের দাবি, এই পদক্ষেপ পুরোপুরি প্রতিরোধমূলক। উদ্দেশ্য একটাই—যাতে কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক সভা বা আকস্মিক জমায়েত থেকে শহরের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।
রাজনৈতিক উত্তেজনার আবহে দক্ষিণ কলকাতার শান্তি বজায় রাখতে এই ৬০ দিনের জমায়েতবিরোধী নির্দেশ এক প্রকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রশাসনের কড়া নজরদারির মধ্যে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয় কলকাতা পুলিশ, এখন সেটাই দেখার।