SSC মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ার পরে রাজ্যজুড়ে তোলপাড়। তার মধ্যেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলন ঘিরে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর সোজাসাপ্টা বক্তব্য, “এই বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ২৬,০০০ চাকরি নিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছেন। আংশিক অন্তর্বর্তী স্বস্তিও মিলেছে। ফলে, এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় নেমে গেট আটকানো, দপ্তর অবরোধ, কিংবা বিকাশ ভবনের সামনে যা ঘটেছে—তা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়।”
‘আইনি লড়াই চলছে, রাস্তায় নেমে নয়’
কুণাল ঘোষের মতে, আন্দোলনকারীরা একপ্রকার অস্থিরতা তৈরি করছেন এবং জনজীবনকে প্রভাবিত করছেন, যা কোনওভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। তিনি বলেন, “বিচারব্যবস্থা যে পথে চলছে, তা চলতে দিন। রাজ্য সরকারও বিষয়টি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। তাই ধৈর্য ধরাই উচিত।”
রাজনৈতিক প্ররোচনার অভিযোগ
কুণাল ঘোষ আরও দাবি করেন, এই আন্দোলনের পেছনে রয়েছে ‘রাজনৈতিক উসকানি’। তাঁর কথায়, “যেভাবে আন্দোলন এগোচ্ছে, তাতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পরিষ্কার। শিক্ষকদের সমস্যা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখা উচিত।”
শিক্ষক মহলের পাল্টা প্রশ্ন
যদিও শিক্ষক আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাঁরা শুধুই ন্যায়ের দাবি জানাচ্ছেন। তাঁদের প্রশ্ন, “আমরা যদি শিক্ষক না হয়ে অন্য কেউ হতাম, তাহলে কি পুলিশ এভাবে হেনস্থা করত? আমাদের ভোটের সময়ে ব্যবহার করা হয়েছিল, এখন বাতিল করা হচ্ছে।”
রাজ্যের শিক্ষা নিয়োগ ব্যবস্থার ওপর তৈরি হওয়া এই বিতর্ক এখন সর্বোচ্চ আদালতের হাতে। কিন্তু ততদিন আন্দোলন থামবে কি? নাকি রাজনীতি বনাম প্রতিবাদ—এই দ্বন্দ্বেই আরও ঘনীভূত হবে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র?
#WATCH | Kolkata | On SSC teachers’ protest, TMC leader Kunal Ghosh says, “This is a legal issue currently being heard in the Supreme Court. The Chief Minister has already filed a review petition concerning the 26,000 jobs. Some interim relief has been provided. So, blocking… pic.twitter.com/gCS36fAe4Y
— ANI (@ANI) May 30, 2025